বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির সমাবেশ হচ্ছে। বিএনপিকে যদি সমাবেশ করতে দেওয়া হতো, তাহলে এর চেয়ে ২০ গুণ বেশি লোক সমাগম হতো, মিছিল হতো।
আজ শনিবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে মওদুদ আহমদ এ মন্তব্য করেন। 'বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায় প্রত্যাহারের' দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মওদুদ আহমদ বলেন, জাতীয় পার্টি, চরমোনাই পীর সাহেবকে অনুমতি দেওয়া হয়, বিএনপি সভা করতে চায়, কিন্তু দেওয়া হয় না।
সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ বলেন, ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করা হবে সংলাপে বসতে। সরকারকে বাধ্য করা হবে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে। ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমে সরকারের পতন হবে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিষয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, এই হামলা একটি মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা সকলেই এর নিন্দা করেছি, এখনো করছি।এই ঘটনা বাংলাদেশের কোনো মানুষ সহজভাবে নিতে পারেনি। এটি অনেকটা জাতীয় ট্র্যাজেডি বলা যেতে পারে। তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে কোনো সাক্ষী বলেননি যে, এর সঙ্গে বিএনপি ও তারেক রহমান জড়িত। কিন্তু শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য এই মামলায় তারেক রহমান কে জড়িয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। এটি একটি ফরমায়েশি রায়। এই রায় দেশের জনগণ মানেনি। কারণ এই মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষীর বক্তব্য তারা উত্থাপন করেনি।
মামলার রায়ের বিষয়ে মওদুদ আহমদ আরও বলেন, তারেক রহমান যেদিন দেশে ফিরিয়ে আসবেন, তিনি আপিল করবেন। আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইবেন। হাইকোর্টে প্রমাণ করবেন, তাঁর বিরুদ্ধে রায় একটি অচল রায়। এই রায়টি তখন কার্যকর হবে না, হাইকোর্ট তাঁকে নির্দোষ বলে খালাস দেবেন, এই বিশ্বাস আমরা রাখি।
এ সময় মওদুদ আহমদ বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে সাত দিনের মধ্যে সম্প্রচার আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করবে বিএনপি।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য জেবা খান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন।