আ.লীগ প্রার্থীর ‘মনোনয়ন বাণিজ্য’ নিয়ে মন্তব্য

জানিপপের চেয়ারম্যান কলিমুল্লাহসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
ফাইল ছবি

ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে এক আলোচনায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে মনোনয়ন পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে কথা হয়েছিল। এর জেরে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

কুমিল্লা শহর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাদী হয়ে আজ বুধবার সাইবার ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের বিচারক জহিরুল কবীরের আদালতে এ মামলা করেন।

মামলার অপর দুই বিবাদী হলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল টেবিল টক ইউকের সঞ্চালক হাসিনা আক্তার।

বাদীপক্ষের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ১২ জুলাই পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ

মামলার আরজিতে বাদী অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত ১৩ মে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কুমিল্লা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হককে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু বিএনপি–জামায়াতের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় যুক্তরাজ্য থেকে পরিচালিত ইউটিউব চ্যানেল টেবিল টক ইউকে গত ১৯ মে প্রচারিত টক শো আরফানুল হকের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ও বানোয়াট অপপ্রচার করে। সেখানে কলিমুল্লাহ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি মনিরুল হক চৌধুরীসহ আরও দুজন অংশ নেন। আরফানুল হক ‘প্রথমে ১৩ কোটি, তারপর ২০ কোটি, তারপর ৬০ কোটি টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনেছেন’ বলে ওই টক শোতে বলা হয়। যেহেতু মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাই এ ধরনের বক্তব্য তাঁর জন্য মানহানিকর।

তবে বক্তব্যে কারও মানহানি করেননি দাবি করে অভিযোগ অস্বীকার করেন মনিরুল হক চৌধুরী। আজ বিকেলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আলোচনার একপর্যায়ে টাকা লেনদেনের বিষয়টি শুনেছি, বলেছি।’

১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।