আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও ইসলামিক ফাউন্ডেশনে নবীন ইমামদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহবুব উল আলম হানিফ এ মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, তফসিল ঘোষণার পরই মনোনয়ন কারা পাচ্ছেন, তা চূড়ান্তভাবে বলা যাবে। আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে। ইতিমধ্যে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে তৃণমূলের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি বলেন, দলের সভানেত্রী বিভিন্ন উইংস থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন। এসব তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। এই তালিকাও মোটামুটি প্রস্তুত আছে, আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থিতা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে।
নির্বাচনে আগে বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকার গঠন নিয়ে বিএনপির দাবির বিষয়ে হানিফ বলেন, বিএনপি কী করবে না করবে, সেটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
হানিফ আরও বলেন, আদালতের রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো কয়েদিকে রাজনৈতিকভাবে মুক্তি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। একমাত্র রাষ্ট্রপতিই পারেন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে।
এ বিষয়ে হানিফ আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তাহলে রাষ্ট্রপতি হয়তো বিবেচনা করতে পারেন। এর বাইরে রাজনৈতিকভাবে তাঁকে মুক্ত করার কোনো সুযোগ নেই। খালেদা জিয়াকে আইনের মাধ্যমেই মুক্ত করে আনতে হবে।
বিএনপির দাবি নিয়ে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, এই দাবির মধ্য দিয়ে জাতির সামনে পরিষ্কার হয়ে উঠেছে, খালেদা জিয়া যে টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন, এই ব্যাপারে তাঁর দলের নেতারা সুনিশ্চিত। এ কারণে বিএনপি ধরে নিয়েছে, তাঁরা আদালতে খালেদা জিয়াকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন না। তাই রাজনৈতিকভাবে মুক্তির চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, রাজপথের আন্দোলনের হুমকির মধ্য দিয়ে বিএনপি দলের চেয়ারপারসনের দুর্নীতি ও অপকর্মকে আড়াল করার চেষ্টা করছে।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে বিএনপির দাবির প্রতিক্রিয়ায় হানিফ বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, কোনো রাজনৈতিক দলের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর সব কর্মকাণ্ড হয় না। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি বৈঠক করে এবং সবার পরামর্শের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেই নির্বাচন কমিশন কারও ইচ্ছা-অনিচ্ছায় যখন-তখন ভেঙে দেওয়া বা পুনর্গঠন করার দাবি যৌক্তিক নয়।’