একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা প্রকাশ করেছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তাঁর নেতৃত্বেই ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এ নির্বাচনী ফ্রন্টের যাত্রা শুরু হয়।
রাজধানীর বিজয়নগরের একটি হোটেলে আজ শনিবার বিকেলে গণফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল এ সম্ভাবনার কথা জানান।
বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ গত সাধারণ নির্বাচনের পর অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এ প্রসঙ্গে ড. কামাল বলেন, এখন ওই অর্থে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কার্যকর নেই। তবে এটা পুনরুজ্জীবিত করা বা নতুন করে একটি ঐক্য করার সম্ভাবনা সব সময়ই আছে।
গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোর দাবি আমরা জানাচ্ছি। দলীয় সরকারের অধীনে যে নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় না, তা নিয়ে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে।’
সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই, তাহলে কীভাবে এমন সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, দাবি তুললে আলোচনার মাধ্যমে এগুলো আদায় করা যায়। জনগণের কাছ থেকে দাবি উঠলে এটা হতে পারে। এ বিষয়ে আন্দোলন বা কর্মপন্থা ঠিক করতে পরবর্তী সময়ে দলীয় ফোরামের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে গণফোরাম সভাপতি বলেন, সার্চ কমিটির বদলে আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করলে তো আরও ভালো হয়। সার্চ কমিটিতে নিরপেক্ষ লোক না থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন হয় না।
ডিজেলের দাম বাড়ানোর কারণে সব জিনিসের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে উল্লেখ করে ড. কামাল হোসেন বলেন, এটা উচিত হয়নি। সব জিনিসের দাম কমানো দরকার।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সাংসদ মোকাব্বির খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম শফিউল্ল্যা, কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য মফিজুল ইসলাম খান, এস এম আলতাফ হোসেন, সগীর আনোয়ার, মোশতাক আহমেদ, মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।