দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সাংসদ মো. আলী ও তাঁর ছেলে আশেক আলীকে সম্পদবিবরণীর নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চিঠিতে দুদক বলেছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাঁদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ থাকার তথ্য মেলায় এই নোটিশ দেওয়া হয়।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সংস্থার পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা নোটিশ তাঁদের ধানমন্ডির বাসার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তাঁদের ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদবিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে তাঁরা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাই নোটিশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাঁদের নিজেদের, নির্ভরশীল ব্যক্তিদের যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, দায়দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ নির্ধারিত ফরমে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত ৫ মে মো. আলীকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উপপরিচালক সেলিনা আক্তার মনির নেতৃত্বে একটি দল। দলের অন্য দুই সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক সিফাত উদ্দিন ও উপসহকারী পরিচালক শিহাব সালাম। সাবেক এই সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, বিভিন্ন অনিয়ম ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
মো. আলীর স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস নোয়াখালী-৬ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ। এই আসনে ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন মো. আলী। ২০০১ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদে আওয়ামী লীগের হয়ে সাংসদ হন তাঁর স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস।