অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগ এনে ফের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আমরণ অনশনে বসা রোকেয়া হলের পাঁচ ছাত্রীকে হেনস্তার বিষয়ে হলটির প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদা বলেছেন, ‘তাঁরা হলের গেটের বাইরে গিয়ে অবস্থান করছেন। সেখানে হেনস্তার হওয়ার ঘটনাটি আমাদের কনসার্ন না। আমাদের কনসার্ন তাঁদের গেটের বাইরে থেকে হলের ভেতরে নিয়ে আসা।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জিনাত হুদা এ কথা বলেন। সাংবাদিকেরা ছাত্রীদের হেনস্তার বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত না। কোনো হাউস টিউটরও আমাকে অবগত করেননি।’
এ ঘটনার পর আজ বেলা দেড়টার দিকে ছাত্রীদের অনশনে সংহতি জানাতে আসেন ডাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক। ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্য নেতা-কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করে নুরুল হক বলেন, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারীর লাঞ্ছনা ও হেনস্তার অপসংস্কৃতি চালু করতে চায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।
এরপরে সেখানে সংহতি জানাতে আসেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের হয়ে ডাকসুর সহসভাপতি প্রার্থী মোস্তাফিজ রহমান। তিনি বলেন, ছাত্রীদের প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা আছে। ছাত্রদল তাঁদের সঙ্গে থাকবে সব সময়।
কারচুপির অভিযোগে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল সংসদ নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন, হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে গতকাল বুধবার রাত নয়টা থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন হলের পাঁচ শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে চারজন বিভিন্ন প্যানেল থেকে হল সংসদে প্রার্থী ছিলেন।
অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের রাফিয়া সুলতানা, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সায়েদা আফরিন, একই বিভাগের জয়ন্তী রেজা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শ্রবণা শফিক দীপ্তি ও ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রমি খিশা। পরে রাতে ওই ছাত্রীদের হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। অনশনকারী ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ডাকসুর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের হেনস্তা করেন।