ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রদল নেতা-কর্মী পরিচয়ে কোনো নিয়মিত শিক্ষার্থী থাকলে কোনো ধরনের সমস্যা করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ছাত্রলীগ।
আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদের সভা শেষে হলে সহাবস্থান নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এ কথা বলেন। সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এ সভা হয় ৷
সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান৷ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সহাবস্থানসহ সভার নানা বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন তাঁরা ৷
এক প্রশ্নের জবাবে রাব্বানী বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ৩০-৩৫ ভাগ শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ৷ বাকিরা সাধারণ শিক্ষার্থী ও অন্যান্য সংগঠনের নেতা-কর্মী ৷ ছাত্রদলের নেতাদের প্রতি অনুরোধ, হলগুলোতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের যেসব নেতা-কর্মী রয়েছেন, তাঁদের তালিকা তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দিক ৷ কথা দিচ্ছি, ছাত্রদল নেতা-কর্মী পরিচয়ে কোনো নিয়মিত শিক্ষার্থী হলে থাকলে আমরা কোনো ধরনের সমস্যা করব না৷'
এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন ঘিরে বিগত দুটি সভায় যোগ দিতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের নিরাপত্তা নিয়ে এসেছিলাম৷ আজকে সেটি প্রয়োজন হয়নি ৷ যদি সত্যিকার অর্থেই সহাবস্থান নিশ্চিত হয়, সেটি স্বীকার করতেও আমাদের দ্বিধা নেই। নির্বাচনের স্বার্থে যেকোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার মানসিকতা আমাদের আছে। আমরা চাই ডাকসুটা সচল হোক।’
আকরামুল হাসান বলেন, ‘ছাত্রলীগ আজ আমাদের মধুর ক্যানটিনে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে ৷ আগামীকাল থেকেই মধুর ক্যানটিনে আসতে চাই। ক্যাম্পাসে আমাদের আগমনকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি হোক, তা আমরা চাই না। দু-এক দিন সময় নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে ছাত্রলীগের নেতারা তফসিলের আগেই যেন সহাবস্থানের একটা পরিবেশ তৈরি করেন।’
ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে পরিবেশ পরিষদের এই সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ১৩টি সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা অংশ নেন। সভায় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে যোগ দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে যোগ দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার।