চট্টগ্রাম একদিন আইটি সিটি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের প্রসারে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এখানে আইটি পার্ক আর আইটি ভিলেজ হচ্ছে। তাই আশা করছি চট্টগ্রাম হবে আইটি সিটি।’
শনিবার দুপুরে আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে তিন দিনব্যাপী ‘দ্বিতীয় চিটাগং আইটি ফেয়ারের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও সোসাইটি অব চিটাগাং আইটি প্রফেশনালস এ মেলার আয়োজন করেছে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এ জন্য তিনি এ খাতে উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।’
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা পারিবারিক ঐতিহ্যের ভিত্তিতে ব্যবসা করছেন। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক জ্ঞান না থাকলে ব্যবসায়িক ঐতিহ্য ধরে রাখা কঠিন হবে। তাই এখন সময় এসেছে, সচেতন হওয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এগিয়ে আসার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন বলে মন্তব্য করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকারি দপ্তরে ই-নথি ফাইল হচ্ছে। অটোমেশন হওয়ায় দুর্নীতি কমেছে। এসব প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতার কারণে সম্ভব হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রামে রয়েছে বিশ্বমানের বন্দর। এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যকে এগিয়ে নিতে হলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উন্নয়নের বিকল্প নেই। এ জন্য চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও মেলার আয়োজন করে আসছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সোসাইটি অব চিটাগাং আইটি প্রফেশনালসের সভাপতি মো. আবদুল্লাহ ফরিদ ও চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ। আলোচনা সভা শেষে শিক্ষা উপমন্ত্রী ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। মেলায় ভারতের দুটিসহ মোট ৩০টি প্রতিষ্ঠানের ৫৮ স্টল অংশ নিয়েছে। আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত চলবে এ মেলা। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।