বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, আগামী বাজেটে ঘুষ, দুর্নীতি, ঋণখেলাপি ও ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্য বন্ধে সুস্পষ্ট অঙ্গীকার থাকতে হবে। তা না হলে সরকারের সব অর্জন নষ্ট হয়ে যাবে। বাজেটে অর্থমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের অর্থায়ন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আজ শনিবার সকালে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগর কমিটির সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, বর্তমান সরকারের নানা ক্ষেত্রে যে অর্জন, তা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। প্রধানমন্ত্রীর একার পক্ষে এই অর্জন ধরে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। ঘুষ, দুর্নীতির কারণে সরকারের অর্জন ‘লাভের গুড় পিঁপড়ায় খায়’ এই অবস্থার শিকার হবে। এ ব্যাপারে সরকার ও সরকারি দলের দৃঢ় অঙ্গীকার ঘোষণা করতে হবে।
এ ছাড়া এক বিবৃতিতে সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, পাটকল শ্রমিকেরা তাদের বকেয়া সপ্তাহ পাওনাসহ ৯ দফা দাবিতে খুলনার পাটকল শ্রমিকসহ চট্টগ্রাম, রাজশাহী, নরসিংদী ও ঢাকার বাওয়ানী ও করিম জুট মিলের শ্রমিকেরা রাস্তায় আন্দোলন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাটকল করপোরেশন গত ২৫ এপ্রিলের মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া সপ্তাহ পরিশোধ এবং মজুরি কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে। ইতিমধ্যে বকেয়া সপ্তাহের পরিমাণ বেড়ে ১২ সপ্তাহে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ১ রমজান থেকে পাটকল শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ রেখে রাস্তায় অবস্থান করছেন এবং সড়কেই ইফতার করছেন। কিন্তু এর প্রতিকারের কোনো উদ্যোগ নেই।
রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, পাটকল শ্রমিকদের ৯ দফা দাবির কোনো সুরাহা না করে পাটকল করপোরেশন কর্তৃপক্ষ তাদের খেয়াল খুশিমতো মিল চালাচ্ছে। তাদের একগুঁয়েমির কারণে ধ্বংসের পথে ঐতিহ্যবাহী পাট ও পাট শিল্প। পাট ও পাট শিল্পের হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে সরকারকেই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। পাটকল শ্রমিকদের ৯ দফা মেনে নিয়ে শিল্পের অসন্তোষ দূরীকরণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন নগর পার্টির সভাপতি আবুল হোসাইন। সভায় বক্তব্য দেন নগর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, মো. তৌহিদ, বেনজির আহমেদ, মুর্শিদা আখতার, জাহাঙ্গীর আলম, শাহানা ফেরদৌসী, আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।