সাদেক হোসেন খোকাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার রায়ে ১৩ বছর কারাদণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। দলটির দাবি, খোকা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আদালতের গোটা বিচারপ্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য ছিল তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এবং তাঁকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন এ দাবি করেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, দুদকের মামলায় সাদেক হোসেন খোকাকে পলাতক দেখিয়ে বিচার করা হয়। প্রকৃতপক্ষে তিনি উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। এ অবস্থায় উচ্চ আদালতের রায় বাতিল না করে নিম্ন আদালতে তাঁর বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করাই ছিল আইনবহির্ভূত।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, যে অবৈধ সম্পদের কথা আদালত বিবেচনায় নিয়েছেন, এর মধ্যে সাদেক হোসেন ২০০৪ সালে যে সম্পদ মসজিদের জন্য ওয়াক্ফ করে দিয়েছেন, সেটিও তাঁর সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। গুলশানের যে বাড়ির উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি রাজধানীর মানিকনগরে তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি একোয়ারের পর সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পান। আর এনসিসি ব্যাংক থেকে যে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করেন, তা এখনো ব্যাংকে দায়বদ্ধ। গোপীবাগের বাড়িটি মায়ের নামে, মুন্সিগঞ্জে গ্রামের বাড়ি দাদার নামে। আদালত তাও আমলে নিয়েছেন। আর বুড়িগঙ্গা ইন্ডাস্ট্রিজে খোকার বিনিয়োগ ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। অথচ আদালত ৭৫ শতাংশের মালিক গণ্য করে তা বাজেয়াপ্ত করেছেন। যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিমূলক।
আসাদুজ্জামান বলেন, এক-এগারোর সময়ে করা অনেক মামলা স্থগিত থাকলেও হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটি পুনরুজ্জীবিত করে তড়িঘড়ি শাস্তি দেওয়া হয়েছে।