আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়া ১৫৪ বার আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন। মামলার কার্যক্রম বিলম্বিত না করালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হয়তোবা এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতো না। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এই মামলা নিয়ে কানামাছি খেলেছেন।
আজ রোববার দুপুরে ফেনী পৌরসভা চত্বরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
এ সময় সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, খালেদা জিয়া জেলে। এ অবস্থায় নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ আছে কি? জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি আদালতের বিষয়। এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলাটি গত ১০ বছর আদালতে ছিল। বেগম জিয়া এ মামলা নিয়ে কানামাছি খেলা করেছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশাপ্রকাশ করে বলেন, পঁচাত্তরের পর এবারই প্রথম উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে। সংসদ নির্বাচন নিয়ে অনেকের মধ্যে শঙ্কা ও উৎকণ্ঠা ছিল, সেটা অনেকটাই কেটে গেছে। এবার জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিতদের মধ্যে যাঁরা মনোনয়নপত্র দাখিল করছেন, দলীয় শৃঙ্খলা মেনে নিয়ে তা প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। এরপরও যাঁরা প্রত্যাহার করবেন না, তাঁদের দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। দলের ও জোটের যাঁরা মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন, মহাজোট সরকার আবার ক্ষমতায় এলে তাঁদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সংকট তাদের অভ্যন্তরীণ। গুলশান কার্যালয় ও পল্টন কার্যালয়ে মনোনয়নবঞ্চিতদের হামলা তাই প্রমাণ করে। বিএনপি নিজেদের সংকটের জন্য নির্বাচন থেকে সরে গেলে সরকার বা নির্বাচন কমিশনের কী করার আছে।
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, এলাকায় তিনিসহ মন্ত্রীরা কোনো সরকারি সুযোগ–সুবিধা নেন না। এমনকি নির্বাচনী এলাকায় গাড়িতে পতাকাও থাকে না। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এবার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করছে। আওয়ামী লীগ কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিচ্ছে।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী, মহাজোট মনোনীত প্রার্থী ও জাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, ফেনী অঞ্চলের নারী সাংসদ জাহানারা বেগম, ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন, জেলা যুবলীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম মিয়াজী, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শহীদ খোন্দকার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি করিম উল্যাহ প্রমুখ।