বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন দেশের ২ হাজার ৫৮২ সাংবাদিক। আজ বুধবার একটি যৌথ বিবৃতি দিয়ে এই আহ্বান জানিয়েছেন সাংবাদিকেরা।
বিবৃতিতে সাংবাদিকেরা বলেন, ‘খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তিনি এখন জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণের মতো অবস্থায়। দেশে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়ার মতো আর কিছু বাকি নেই। খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে বিদেশে অ্যাডভান্স সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসা প্রয়োজন। তাই আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাঁকে অবিলম্বে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।’
সাংবাদিকেরা বলেন, ‘ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের প্রধান সাংবাদিকদের কাছে তাঁর অসুস্থতার যে বিবরণ দিয়েছেন, তা খুবই উদ্বেগজনক। আমরা মনে করি, দেশের এক শীর্ষ রাজনীতিক, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক, একজন নারী হিসেবে, উপরন্তু একজন কারাবন্দীর যথাযথ সুচিকিৎসা পাওয়া ন্যূনতম মানবাধিকারের অংশ। তাঁর মৌলিক অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জাতি হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমরা তাই আদালতের মাধ্যমে তাঁকে স্থায়ী জামিনে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’
সাংবাদিকেরা আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, খালেদা জিয়ার মতো একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদের সামগ্রিক অবদান এবং তাঁর বার্ধক্যের এ কঠিন সময়ের কথা বিবেচনা করে সরকার রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে খালেদা জিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ প্রদর্শন করবে। তিনি যাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারেন, তার ব্যবস্থা করলে সরকারের এ পদক্ষেপকে দেশবাসী ইতিবাচক হিসেবেই দেখবে।’
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক নানান জটিলতার মধ্যে এই মুহূর্তে লিভারের সমস্যাই সবচেয়ে প্রকট। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে, খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে কোনো ‘অ্যাডভান্স সেন্টারে’ নেওয়া প্রয়োজন। কারণ, এখানকার হাসপাতালগুলো যথেষ্ট যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ নয়। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা জার্মানির কোনো হাসপাতাল হতে পারে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি যে সাংবাদিকেরা আহ্বান জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (সম্পাদক, ফিন্যান্সিয়াল হেরাল্ড; সাবেক সভাপতি, জাতীয় প্রেস ক্লাব), আলমগীর মহিউদ্দিন (সম্পাদক, দৈনিক নয়া দিগন্ত), আমানউল্লাহ (সাবেক প্রধান সম্পাদক, বাসস), আবুল আসাদ (সম্পাদক, দৈনিক সংগ্রাম), শওকত মাহমুদ (সাবেক সভাপতি, জাতীয় প্রেস ক্লাব), রেজোয়ান সিদ্দিকী (সম্পাদক, দৈনিক দিনকাল), মোস্তফা কামাল মজুমদার (সম্পাদক, দ্য নিউ নেশন), সালাহ উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর (ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, নয়া দিগন্ত), সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ (উপদেষ্টা সম্পাদক, বাংলাদেশ খবর), আবদুল হাই শিকদার (কবি ও সাংবাদিক), এরশাদ মজুমদার (কবি ও সাংবাদিক ), আমিনুর রহমান সরকার (সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক দিনকাল), আল মুজাহিদি (কবি ও সাংবাদিক), এম আবদুল্লাহ (সভাপতি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন), নুরুল আমিন রোকন (মহাসচিব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন), এম এ আজিজ (সাবেক মহাসচিব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন), কাদের গনি চৌধুরী (সভাপতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন) প্রমুখ।
স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আরও রয়েছেন কামাল উদ্দিন সবুজ (সাবেক সভাপতি, জাতীয় প্রেস ক্লাব), সৈয়দ আবদাল আহমদ (নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক আমার দেশ; সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেসক্লাব), মাসুমুর রহমান খলিলী (উপসম্পাদক, দৈনিক নয়া দিগন্ত), ইলিয়াস খান (সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেসক্লাব), শহিদুল ইসলাম (সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন), মুরসালিন নোমানী (সভাপতি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি), মুনশী আবদুল মান্নান (সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন), বাকের হোসাইন (সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন), জাহাঙ্গীর আলম প্রধান (সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন), মাহফুজুর রহমান (সাবেক সভাপতি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি), শাখাওয়াত হোসেন (সাবেক সভাপতি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি), রফিকুল ইসলাম আজাদ (সাবেক সভাপতি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি), ইলিয়াস হোসেন (সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি), রিয়াজ চৌধুরী (সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি), হাসান হাফিজ (কবি ও সিনিয়র সহসভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব), মাহমুদ শফিক (কবি ও সাংবাদিক), আবু সালেহ (সাংবাদিক ও ছড়াকার), আনওয়ারুল কবির (সাংবাদিক ও ছড়াকার), এনায়েত রসুল (সাংবাদিক ও ছড়াকার), মোফাখখার আনাম (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক), কাজী রওনাক হোসেন (সম্পাদক, সারগাম), বদিউল আলম (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক), বখতিয়ার রানা (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক), নুরুল হাসান খান (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক), নুরুদ্দিন আহমেদ (সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন), এ কে এম মহসিন (সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন), এনাম আবেদীন (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক)।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন বুলবুল আহমেদ (জ্যেষ্ঠ ফটোসাংবাদিক), মমতাজ বিলকিস (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক), রোজী ফেরদৌস (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক), জাহেদ চৌধুরী (নগর সম্পাদক, দৈনিক আমার দেশ), আবদুল আউয়াল ঠাকুর (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক), মুজতবা খন্দকার (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক), হাসান শরীফ (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক), আলাউদ্দিন আরিফ (সাধারণ সম্পাদক, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন), মোদাব্বের হোসেন (সিনিয়র সহসভাপতি, বিএফইউজে), রাশিদুল ইসলাম (সহসভাপতি, বিএফইউজে), ওবায়দুর রহমান (সহসভাপতি, বিএফইউজে), নাসির আল মামুন (সিনিয়র সহকারী মহাসচিব, বিএফইউজে), শহীন হাসনাত (সহসভাপতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন), বাছির জামাল (সহসভাপতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন), রাশিদুল হক (সহসভাপতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন), মো. শাহজাহান সাজু (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন), নির্মল চক্রবর্তী (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক), মোহন হাসান (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক), আলী মামুদ (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক), সৈয়দ আকরাম (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক), ফখরুল আলম (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক), আনোয়ার আল দীন (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক), খুরশিদ আলম (সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন), লোটন একরাম (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক), শফিউল আলম (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক), শাহ মনওয়ার জাহান (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক), দিদারুল আলম (সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন), আতিকুর রহমান (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক), মাহমুদুর রহমান (সম্পাদক, দেশ বর্তমান), কায়কোবাদ মিলন (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক), শামসুল হক হায়দরী (সভাপতি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন), মোহাম্মদ শাহানেওয়াজ (সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন)।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আরও রয়েছেন সরদার আবদুর রহমান (সভাপতি, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন), মুহাম্মদ আবদুল আউয়াল, (সাধারণ সম্পাদক, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন), মো. আনিসুজ্জামান (সভাপতি, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন, খুলনা), আবুল হাসান হিমালয় (সাধারণ সম্পাদক, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন, খুলনা), এম আইউব, (সভাপতি, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর), আকরামুজ্জমান (সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক ইউনিয়ন, যশোর), মীর্জা সেলিম রেজা (সভাপতি, সাংবাদিক ইউনিয়ন, বগুড়া), গণেশ দাস (সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক ইউনিয়ন, বগুড়া), মমতাজ উদ্দিন বাহারী (সভাপতি, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার), মোহাম্মদ আনছার উদ্দিন (সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার), রমিজ খান (সভাপতি, কুমিল্লা জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন), মো. আবদুল জলিল ভূঁইয়া (সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন), মো. মাহফিজুল ইসলাম রিপন (সভাপতি, সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুর), আতিউর রহমান (সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুর), আবদুর রাজ্জাক বাচ্চু (সভাপতি, কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন), এম আইয়ুব আলী (সভাপতি, সাংবাদিক ইউনিয়ন, ময়মনসিংহ), সাইফুল ইসলাম (সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক ইউনিয়ন, ময়মনসিংহ), এইচ এম দেলোয়ার (সভাপতি, সাংবাদিক ইউনিয়ন, গাজীপুর), মো. হেদায়েত উল্লাহ (সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক ইউনিয়ন, গাজীপুর) প্রমুখ।