ক্যাসিনো খালেদের পৌনে ৪৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

ঢাকার ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর র‍্যাব গুলশানের বাসা থেকে খালেদ মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে। আজ সোমবার দুদক মামলার অভিযোগপত্র অনুমোদন করে

গ্রেপ্তার খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া
প্রথম আলো ফাইল ছবি

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে সাবেক যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁর বিরুদ্ধে ৪২ কোটি ৭৫ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৮ কোটি ৭৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পাচারের তথ্য রয়েছে অভিযোগপত্রে।

আজ সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলার অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, শিগগিরই অভিযোগপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

ঢাকার ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর র‍্যাব গুলশানের বাসা থেকে খালেদ মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাঁর সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। খালেদ তখন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরে যুবলীগ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। অনুসন্ধানে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা করে দুদক।

তদন্তে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের একাধিক ব্যাংক হিসেবে খালেদ মাহমুদের আরও অর্থের সন্ধান পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে ৪২ কোটি ৭৫ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৮ কোটি ৭৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পাচারের মাধ্যমে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের অভিযোগ আনা হয়। দুদকের উপপরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগপত্র দাখিলের সুপারিশ করে সাক্ষ্য-স্মারক দাখিল করেন।

ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান চালিয়ে যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন ওরফে সম্রাটসহ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির ঘটনায় এ পর্যন্ত দুদক ২২টি মামলা করে। সব মামলার অভিযোগপত্র আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে দাখিল করা হবে বলে দুদকের একজন পরিচালক প্রথম আলোকে জানান।