বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি নিয়ে দলের নেতারা রাজনৈতিক ইস্যু বানাতে চাইছেন বলে দাবি করেছেন ওবায়দুল কাদের। বিএনপি নেতাদের বিদেশ সফর সম্পর্কে তিনি বলেন, জনগণের প্রতি তাঁদের আস্থা নেই। তাই তাঁরা এখন বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন। কখনো ব্যাংকক, কখনো দুবাই, কখনো লন্ডন। কোথায় কে কী করছেন, সরকারের কাছে সব খবর আছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার তো মনে হয় তাঁরা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নয়, রাজনীতি করার ইস্যু খুঁজছেন। তাঁদের কাছে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নয়, ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ। ঈদের পরে বিএনপি আন্দোলনের অজুহাত হিসেবে এটিকে কাজে লাগাতে চায়।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা কি প্রতিদিন জেলখানায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন? তাঁর আত্মীয়রা জেলখানায় দেখা করতে যাবেন। তাঁরা গেছেন এবং ঠিকই দেখা করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে, এটা জেলখানা, কারও বাসাবাড়ি নয়। জেলখানায় প্রতিদিন নেতারা দেখা করতে যাবেন, এ সুযোগ জেল কোডে নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জেলখানায় আত্মীয়স্বজনই মূল। আমি যখন জেলে ছিলাম, আমারও আত্মীয়স্বজন দেখা করতে এসেছেন। জেলখানায় দলীয় ব্যক্তিদের দেখা করার সুযোগ নেই। এরপরও তিনি একটি দলের প্রধান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সেই জন্য তাঁকে দলের লোকজন এবং আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করতে হয়। সেখানে কোনো প্রকার বাধা ছিল না।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসাসেবা নিয়ে কাদের বলেন, সিএমএইচ হলো সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন হাসপাতাল। কেন যে তিনি সেখানে চিকিৎসা নিতে চান না, তা আমাদের জানা নেই। আমার এখন সন্দেহ হয় বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত কি না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ এখন নির্বাচনী আমেজে আছে, মুডে আছে। ২৬ জুন গাজীপুরে নির্বাচন। ৩০ জুলাই অন্য তিনটি সিটিতে নির্বাচন। এরপরেই জাতীয় নির্বাচন। এগুলো হলো সেমিফাইনাল। বছর শেষে হবে ফাইনাল।