মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে করা আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ঢাকা-২০ আসনের বিএনপির প্রার্থী তমিজ উদ্দিন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনে অনুষ্ঠিত শুনানিতে তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এই আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সাংসদ জিয়াউর রহমান খান এবং কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সাংসদ সুলতানা আহমেদও দলীয় প্রত্যয়নের চিঠি পান। তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাইয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদের পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় তমিজ উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। সুলতানা আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয় ঋণখেলাপির কারণে। কোনো ত্রুটি না থাকায় বৈধ ঘোষণা করা হয় জিয়াউর রহমান খানের মনোনয়নপত্র।
বিএনপির সমর্থক ভোটাররা বলছেন, তমিজ উদ্দিন ও সুলতানা আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর বিএনপি ঘরানার ভোটাররা জিয়াউর রহমান খানকে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু তমিজ উদ্দিন প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় চিত্র অনেকটা পাল্টে গেছে। ভোটের চেয়ে চূড়ান্ত মনোনয়নের বিষয়টিই আলোচনায় সামনে চলে এসেছে। তাঁরা বলেন, জিয়াউর রহমান খান এই আসনে তিনবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। আর তমিজ উদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন পরপর তিনবার। তাই ভোটারদের কাছে এই দুই প্রার্থীর কারোরই গুরুত্ব কম নয়।
তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘দলের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের আশ্বাস পেয়েই আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। বাছাইয়ে আমাকে বাতিল ঘোষণা করা হলেও আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। আমি মনে করি, দল আমাকে দিয়েই নির্বাচন করাবে।’
জিয়াউর রহমান খান বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। এখন দল যে সিদ্ধান্ত দেবে সেই অনুযায়ী কাজ করব।’