বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে মানুষের বাক্স্বাধীনতা নেই। এমন কিছু আইন তৈরি করে রাখা হয়েছে, কিছু বললে সেই আইনের খড়্গ নেমে আসে। আর সংবিধানকে কেটেকুটে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যে দেশে আর কেউ নেই।
আজ সোমবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জিয়া পরিষদের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির কোভিড-১৯ হেল্প সেন্টারের জন্য ওষুধসামগ্রী হস্তান্তর উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান হয়।
১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করা নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘মানুষের জন্মদিন থাকবে না নাকি ওই দিন কেউ জন্মাবে না? আমরা মনে করি, ওনার (ওবায়দুল কাদের) বক্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচারবর্জিত।’
বিধিনিষেধ শেষে সবকিছু খুলে দিয়ে কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সমালোচনা করেন বিএনপির মহাসচিব। এটাকে তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ‘ভয়ংকর ক্ষতি’ বলে মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘দেখেন, হঠাৎই কঠোর লকডাউন-টকডাউন সব উধাও হয়ে গেল। এখন খুললাম, যে যেমন খুশি চলো। হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে চলছে-ফিরছে, সবকিছুই করছে। একটা জিনিসই চলছে না, সেটা হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন শিক্ষা না পায়, সেই ব্যবস্থা তারা (সরকার) করছে।’
করোনা মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। টিকা নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ করে তিনি বলেন, ১৮ কোটির দেশে ১৩ কোটি টিকা দরকার হয়। তার মানে ২৬ কোটি ডোজ টিকা লাগবে। তারা আনে দুই লাখ, তিন লাখ, এক লাখ। তা–ও আবার দান, অনুদান। সেখানে তারা গণটিকার প্রচার করে বলে, ‘প্রতিদিন এক কোটি টিকা দেব।’ অথচ টিকা নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই যে মিথ্যা তথ্য প্রচারণা। এদের লজ্জা–শরমও নেই। তারা ভুল তথ্য দিয়ে মিথ্যা কথা বলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। আমি একদিন বলেছি যে এটা একটা ফ্রড গভর্নমেন্ট।’