ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়ার বিষয়ে ৫ নভেম্বর সিদ্ধান্ত জানাবেন কাদের সিদ্দিকী

কাদের সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকী

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়া না–দেওয়ার বিষয়ে আজ শনিবারও সিদ্ধান্ত জানাননি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী। আরও সময় নিয়ে ৫ নভেম্বর সোমবার নিজের অবস্থান জানানোর কথা বলেছেন তিনি।

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আজ শনিবার বিকেলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় কাদের সিদ্দিকী এ কথা জানান।

গত ৩১ অক্টোবর এক সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী জানান, তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান জানতে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জেলহত্যা দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানেই পরিষ্কার করা হবে আসন্ন নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ কী পদক্ষেপ নেবে বা কোন জোটে যাবে।

তবে আজ কাদের সিদ্দিকী ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি আর একটি দিন সময় চাই। শুধু কালকের দিন সময় চাই। পরশু দিন দলবদ্ধভাবে গিয়ে আমাদের অবস্থান আপনাকে জানিয়ে আসব। আগামী ৫ তারিখ সাড়ে ১২টার মধ্যে আমি আমার মত আপনাদের জানিয়ে দিয়ে আসব।’ এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. কামাল হোসেন। তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আজকের আলোচনা সভায় বিএনপি বাদে ঐক্যফ্রন্টের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপে যাওয়ার মধ্য দিয়েই ঐক্যফ্রন্টের বিজয় হয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘সংলাপের পর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৯টি সিট পাবে। কামাল হোসেন দেশের যেখানে দাঁড়ান সেখান থেকেই তিনি জিতে আসবেন।’ কাদের সিদ্দিকী বলেন, এ অনুষ্ঠানে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে (বি চৌধুরী) আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু রাজি হয়েও কামাল হোসেনের প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা শুনে তিনি (বি চৌধুরী) আসতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, ড. কামালের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার আগে বিকল্পধারারও এই জোটে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তাঁরা একাধিক বৈঠকও করেন। কিন্তু শেষে বিকল্পধারা ছাড়াই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। আর বি চৌধুরীর নেতৃত্বে বিকল্পধারা, নাগরিক ঐক্য ও জেএসডি মিলে গঠিত যুক্তফ্রন্টের সঙ্গেও কাদের সিদ্দিকী কয়েকটি বৈঠকে অংশ নেন। তবে শেষ পর্যন্ত যুক্তফ্রন্টেও যোগ দেননি।