বিএনপি কিংবা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত নেতাদের শপথ না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অলি আহমেদ। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান অলি বলেন, এই নেতারা শপথ নিলে সেটা হবে দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা। তিনি বলেন, তিন থেকে চার বছর ধরে দিনের বেলা কোনো নির্বাচন হয় না।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এলডিপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অলি আহমদ এসব কথা বলেন।
পুনরায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন চেয়ে সৎ ও যোগ্য রাজনীতিবিদদের সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন করার দাবি জানিয়ে অলি আহমদ বলেছেন, ‘সরকার যদি দেশের শান্তি চায়, তাহলে সৎ, বিজ্ঞ, দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতাদের সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হোক। অন্যথায় বাংলাদেশে কখনো শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসবে না।’
বিএনপি কিংবা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত প্রার্থীদের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অলি আহমদ। তিনি মনে করেন, ‘তাঁরা যদি শপথ নেন, তা হবে ১৬ কোটি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা।’
অলি আহমদের অভিযোগ, ‘৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৮০ ভাগ ব্যালট পেপারে প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর নেই। ৬৫ ভাগ ব্যালট রাতের বেলা কাস্টিং হয়েছে। ৯৫ ভাগ লোককে ব্যালটে হাত দিতে দেওয়া হয়নি।’
তিন থেকে চার বছর ধরে বাংলাদেশে দিনের বেলা কোনো নির্বাচন হয় না, দাবি করে অলি আহমদ বলেন, ‘সবাই জানেন নির্বাচন হয় দিনের বেলা। কিন্তু গত তিন থেকে চার বছর দিনের বেলা কোনো নির্বাচন হয় না। দিনের বেলা হয় ড্রামা, নির্বাচন হয় আগের রাতে। এবারের নির্বাচনেও যে ভোটগুলো কাস্ট হয়েছে তার অন্তত ৮০ ভাগ ব্যালট পেপারে প্রিসাইডিং অফিসারের কোনো দস্তখত নাই।’
প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের প্রত্যেককে সরকারের পক্ষ থেকে বড় ধরনের উপহার দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল বলে দাবি করেন অলি আহমদ। তিনি বলেন, ‘২৯ ডিসেম্বর ও ৩০ ডিসেম্বর সরকারের পক্ষ থেকে টাকার বন্যা হয়েছিল। কেউ বলে ৫ হাজার কোটি টাকা, কেউ বলে ১০ হাজার কোটি টাকা।’
এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমদ বলেন, ‘ভোট ডাকাতি হয়েছে। ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়েছে।’
অলি আহমদের অভিযোগ, ‘বিরোধী দলে থেকেও সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নির্বাচন করেছেন। তাঁরা ভালো ভালো বক্তব্য রাখেন, ভালো ভালো মিটিং করেন।’
সংবাদ সম্মেলনে এলডিপির মহাসচিব রেদওয়ান আহমদসহ দলটির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।