সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার মতো বৃহত্তর ঐক্যের নেতাদের স্বপ্নও ভেঙে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, মহানগর নাট্যমঞ্চে রাজনীতির নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। বিএনপির মতো দেউলিয়া দল আরেক দেউলিয়া ড. কামাল হোসেনের কাছে আত্মসমর্পণ করে বাঁচতে চায়।
আজ রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে স্বপ্ন ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা একটি বই লিখেছেন স্বপ্নভঙ্গের । বহু আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বপ্ন ভেঙেছে। এভাবে বৃহত্তর ঐক্যের ষড়যন্ত্রের স্বপ্নও ভেঙে যাবে।
ড. কামাল হোসেনের ডাকে বৃহত্তর ঐক্যের সমাবেশের সমালোচনা করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শনিবার মহানগর নাট্যমঞ্চে রাজনীতির নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। বিএনপির মতো একটি দেউলিয়া দল আরেক দেউলিয়া ড. কামাল হোসেনের কাছে আত্মসমর্পণ করে বাঁচতে চায়। দেউলিয়াদের ঐক্য হতে পারে না। এটি মূলত ষড়যন্ত্রের ঐক্য। এটি দেশীয় ষড়যন্ত্র। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মহলে লুটের টাকা দিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। কোনো ষড়যন্ত্র ফলপ্রসূ হবে না। আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতৃত্বে বহু আগ থেকেই জনগণের জাতীয় ঐক্য হয়েছে, সেটি এখনো আছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে।
৯০-এ ছাত্রদের কালো তালিকাভুক্ত ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীরা গণতন্ত্রের লেবাস নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘যারা আজকে বলছে আইনের শাসন নাই, গণতন্ত্র নাই, ৭৫-এর ১৫ আগস্টের হত্যাকারীদের বিচার ও ৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কে করেছে? যখন এসব বিচার হচ্ছিল, তখন তো এই আইনের ঠিকাদার ড. কামালেরা এক দিনও বিচারাঙ্গন পরিদর্শনে যাননি। তাঁরা যে গণতন্ত্রের কথা বলছেন, সেটা কি ২১ আগস্টের মতো গ্রেনেড হামলা করে বিরোধী দলের নেতাকে হত্যাচেষ্টার গণতন্ত্র? অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টারসহ বিরোধী দলের নেতাদের হত্যার গণতন্ত্র?’
স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রনেতা রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক অসীত বরণ রায়, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য আনোয়ারুল কবির, ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন প্রমুখ।