অবশেষে রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিমের মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো। মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থীর পক্ষে এই মনোনয়নপত্র আজ সোমবার প্রত্যাহার করা হয় বলে দলের একাধিক সূত্র জানায়। ফলে জাতীয় পার্টির প্রয়াত প্রধান এইচ এম এরশাদের আসনটি তাঁর দলের জন্যই ছেড়ে দিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী না থাকায় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে শহরের কাচারি বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
আজ বিকেল চারটায় দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে নির্বাচনী কার্যালয়ে যাওয়ার পথে শহরের কাচারি বাজার এলাকায় এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের পথরোধ করে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার বিরোধিতা করে এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা স্লোগান দেন।
জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান বলেন, সবাই যখন নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত, ঠিক এমন সময় খবর এল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা যে উচ্ছ্বাস নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছিল, তাদের উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভাটা পড়ে গেল।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় এখন প্রার্থী থাকলেন ছয়জন। তারা হলেন জাতীয় পার্টির রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, বিএনপির রিটা রহমান, প্রয়াত এরশাদের ভাতিজা স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ শাহরিয়ার, এনপিপির শফিউল আলম, গণফ্রন্টের কাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লহ ও খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মন্ডল।
মনোনয়ন প্রত্যাহার প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন, ‘আশা ছিল এবার হয়তো নৌকা প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু মহাজোটের রাজনীতির কারণে অবশেষে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হলো। এখানে আমার কোনো করণীয় নেই।’ তিনি আরও বলেন, অনেক দিন পর নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়ায় রংপুরে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। অনেক স্থানে নির্বাচনী প্রচারণরাও হয়েছে। সেই সঙ্গে দলের সাংগঠনিক অবস্থাও চাঙা হয়ে উঠেছিল।
রংপুর সদর উপজেলা এবং ১ থেকে ৮ নম্বর ছাড়া রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডভুক্ত এলাকা নিয়ে এই আসন গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন।
আগামী ৫ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইভিএম পদ্ধতিতে।