এবার বাংলাদেশ জনতা পার্টির (বিজেপি) আত্মপ্রকাশ

ডিআরইউতে বিজেপির আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির নেতারা। ছবি: প্রথম আলো
ডিআরইউতে বিজেপির আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির নেতারা। ছবি: প্রথম আলো

নামসর্বস্ব হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান আদিবাসী পার্টি এবং সমমনা অর্ধশতাধিক সংগঠনের উদ্যোগে গঠিত হয়েছে বাংলাদেশ জনতা পার্টি (বিজেপি)। দলটি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে; যদিও রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে বিজেপির নিবন্ধন নেই।


আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান আদিবাসী পার্টি গঠিত হয়। এদের উদ্যোগে আরও কিছু সংগঠন নিয়ে বিজেপি আত্মপ্রকাশ করল।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান আদিবাসী পার্টি ছাড়াও এই দলে আছে মুক্তির আহ্বান, বাংলাদেশ সচেতন সংঘ, জাগো হিন্দু পরিষদ, আনন্দ আশ্রম, হিন্দু লীগ, সনাতন আর্য সংঘ, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন, বাংলাদেশ ঋষি সম্প্রদায়, বাংলাদেশ মাইনরিটি ফ্রন্ট, হিউম্যান রাইটস, হিন্দু ঐক্য জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন।

দলের সভাপতি ও মুখপাত্র হয়েছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান আদিবাসী পার্টির সভাপতি মিঠুন চৌধুরী, মহাসচিব দেবাশীষ সাহা। মহানগর সম্পাদক হয়েছেন দেবদুলাল সাহা। আর দলের যুব পার্টির সভাপতি আশিক ঘোষ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিজেপি আগামী নির্বাচনে সরকার গঠন করলে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের জটিলতা নিরসন করবে, প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন করবেন, প্রতিটি বিভাগকে প্রদেশে উন্নীত করা হবে, সংখ্যালঘুদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় করা হবে, ঋণখেলাপিদের ঋণের ৮০ শতাংশ পরিশোধ না হলে নতুন ঋণ দেওয়া হবে না, প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য ধর্মের উপাসনালয় তৈরি করা হবে এবং দুর্গাপূজায় তিন দিনের ছুটির গেজেট প্রকাশ করা হবে।

সাংবাদিকেরা জানতে চান, এটি ধর্মীয় কোনো জোট কি না? জবাবে সদ্য গঠিত দলের সভাপতি ও মুখপাত্র মিঠুন চৌধুরী বলেন, ‘এটি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের একটি দল।’