বিশেষ সাক্ষাৎকার

এই সার্চ কমিটি আসলে কার কমিটি হবে

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। আইন না হওয়ায় এবারও কমিশন গঠন করা হবে সার্চ কমিটির মাধ্যমে। এ পদ্ধতির দুর্বলতা, কমিশন গঠনে আইনের প্রয়োজনীয়তা, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা, সরকারের ভূমিকাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রিয়াদুল করিম

বদিউল আলম মজুমদার
বদিউল আলম মজুমদার
প্রশ্ন

সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন হওয়ার কথা থাকলেও ৫০ বছরেও তা হয়নি। সম্প্রতি সুজন একটি খসড়া উপস্থাপন করেছে। আইন করার কথা সরকারের। আপনাদের কেন এ রকম একটি খসড়া উপস্থাপন করতে হলো?

বদিউল আলম মজুমদার: দুর্ভাগ্যবশত গত ৫০ বছরে কোনো সরকারই এই আইন করেনি। সাংবিধানিক নির্দেশনা উপেক্ষা করে গেছে। সুজন নাগরিকদের সংগঠন; নাগরিকদের স্বার্থে, নাগরিকদের কল্যাণে কাজ করে। আমরা মনে করি, এটার বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হওয়া দরকার।

কেউ কেউ বলছে সময় নেই। তারা আলাপ–আলোচনা করতেও অনাগ্রহী। এ খসড়া করার মাধ্যমে আমরা দেখাতে চেয়েছি, এ রকম একটা আইন করা খুব একটা সময়সাপেক্ষ বা জটিল বিষয় নয়। বস্তুত এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একটি খসড়া করে রেখে গিয়েছিল। আমরা ওই খসড়া কাজে লাগিয়ে, আশপাশের দেশগুলোর আইনকানুন দেখে এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করে খসড়াটি করেছি। এটা নিয়ে আলাপ–আলোচনা শুরু হওয়া দরকার। কারণ, শুধু আইন করলেই হবে না। আইনে যাতে জনস্বার্থ সংরক্ষিত হয়, সেটা দেখতে হবে।

প্রশ্ন

আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে আইনমন্ত্রী বলেছেন, কোভিড পরিস্থিতি ও সময়স্বল্পতার কারণে আইন হচ্ছে না। এবারও সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন কমিশন করা হবে। তাঁর মতে, এ ব্যবস্থা আইন না হলেও আইনের কাছাকাছি।

বদিউল আলম মজুমদার: আমাকে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বললেন, আইনমন্ত্রী যে কথাটি বলেছেন তার মানেটা কী? হয় আইন, না হয় আইন নয়। কাছাকাছি বলে তো কিছু নেই। আমারও প্রশ্ন, আইনের কাছাকাছি মানেটা কী? সংবিধানে আমাদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা হলো ‘আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে’ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আইন করা তাদের জন্য বাধ্যতামূলক। এ দায় কারও ওপর এ সরকার চাপাতে পারবে না। কারণ, তারা টানা ১২ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। সময় নেই, এ যুক্তি খাটে না। এখনো যে সময় আছে, যদি করতে চান তাহলে করতে পারেন। সরকার বলে আসছে, সবকিছু সংবিধানসম্মতভাবে হবে। সংবিধান থেকে একচুলও নড়বেন না। এখানে সংবিধান কোথায় গেল? সংবিধানটা কি এমন জিনিস যে টেলিফোন গাইডের মতো, আমি যখন ইচ্ছা ব্যবহার করব, যখন ইচ্ছা ছুড়ে ফেলব?

  • আইন হলেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন হবে, এটা একেবারে নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে এতে সঠিক ও যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ পাওয়ার পথ সুগম হবে।

  • একসময় গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে কমিশন হয়েছে, যেমন আবু হেনা কমিশন, শামসুল হুদা কমিশন। তাঁরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাম্প্রতিক কালে যাঁরা এসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাঁরা জনস্বার্থে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না।

প্রশ্ন

তাহলে যে কমিশন হচ্ছে বা অতীতে যতগুলো কমিশন হয়েছে, সেগুলো কি অসাংবিধানিক?

বদিউল আলম মজুমদার: যেভাবে কমিশন করা হচ্ছে তা সংবিধানসম্মত নয়। সংবিধানের আকাঙ্ক্ষা ও নির্দেশনা উপেক্ষা করে করা হয়েছে। আমাদের সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ব্যতীত সব ক্ষেত্রেই মহামান্য রাষ্ট্রপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শমতো কাজ করবেন। তাহলে যে সার্চ কমিটি হবে, সেটা কার সার্চ কমিটি হবে? সেটা কি রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি হবে, নাকি প্রধানমন্ত্রীর সার্চ কমিটি হবে?

প্রশ্ন

আইন হলেই কি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন পাওয়া যাবে? তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যখন ছিল, তখন এর প্রধান হতেন সর্বশেষ অবসরে যাওয়া প্রধান বিচারপতি। যে কারণে প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগেও দলীয়করণের অভিযোগ উঠেছিল। নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করা হলে সে ক্ষেত্রেও ওই রকম অবস্থা তৈরি হবে কি না?

বদিউল আলম মজুমদার: সে আশঙ্কা আছে। এ জন্যই প্রয়োজন সদিচ্ছা। তবে আইন হলে কিছু নির্দেশনা থাকবে। ক্ষমতাসীনেরা আইন করতে চায় না কেন? কারণ, আইনের মাধ্যমে কিছু বিধিনিষেধ সৃষ্টি হয়। আইন কিছু পদ্ধতির কথা বলে দেয়। পদ্ধতি অনুসরণ করলে, বিধিনিষেধ মেনে চললে তাদের পক্ষে যাকে ইচ্ছা তাকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয় না। এ জন্য তারা এটাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে। আইন হলেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন হবে, এটা একেবারে নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে এতে সঠিক ও যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ পাওয়ার পথ সুগম হবে।

প্রশ্ন

গত দুটি কমিশন সার্চ কমিটির মাধ্যমে হয়েছে। তার আগে রাষ্ট্রপতি নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছিলেন। পরে দুটি কমিশনই বিতর্কিত হয়েছে। এ পদ্ধতির দুর্বলতাগুলো কী?

বদিউল আলম মজুমদার: এ পদ্ধতির বড় দুর্বলতা হলো সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদ। আমাদের বিচারপতি সাহাবুদ্দীন সাহেব বলেছিলেন, জানাজা পড়া আর কিছু রুটিন দায়িত্ব পালন করা ছাড়া রাষ্ট্রপতির কোনো ভূমিকা নেই। এটা সংবিধানের দুর্বলতা। আরেকটি দুর্বলতা হলো সৎ উদ্দেশ্যের অভাব।

প্রশ্ন

সর্বশেষ দুই কমিশন গঠনের আগের কমিশনগুলো সার্চ কমিটি ছাড়া সরাসরি রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়েছিলেন। দুই পদ্ধতিতে আসা কমিশনগুলোর মধ্যে কোনো তফাত কি ছিল?

বদিউল আলম মজুমদার: আসলে কোনো তফাত নেই। একসময় গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে কমিশন হয়েছে, যেমন আবু হেনা কমিশন, শামসুল হুদা কমিশন; তাঁরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাম্প্রতিক কালে যাঁরা এসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাঁরা জনস্বার্থে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না।

প্রশ্ন

আইন করেই একটি কমিশন হলো। নির্বাচনের সময় যারা সরকারে থাকবে, তারা না চাইলে কি একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব?

বদিউল আলম মজুমদার: আমাদের নির্বাচন কমিশনের অগাধ ক্ষমতা আছে। তারা রাতকে দিন, দিনকে রাত করা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সবই করতে পারে। তবে সরকার তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন। অতীতের নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করলে সবচেয়ে শক্তিশালী কমিশনও ভালো নির্বাচন করতে পারবে না। এসব সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশনের কিন্তু একটা নিউক্লিয়ার পাওয়ার আছে। তারা পরিস্থিতি চরম বিরূপ মনে করলে নির্বাচন বাতিল করতে পারে। জালিয়াতি হলে তদন্ত সাপেক্ষে ভোটের ফল বাতিল করতে পারে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে যদি কমিশন বলত পরিবেশ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক নয়, তারা নির্বাচনটা স্থগিত করলে নির্বাচনী ব্যবস্থাটা রক্ষা পেত। নির্বাচনী ব্যবস্থা যাতে ধ্বংস না হয়, সে জন্য নির্বাচন কমিশন রক্ষাকবচ হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারে। সরকারের সহযোগিতা না থাকলে, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে না পারলেও নির্বাচন কমিশন একটি বিতর্কিত নির্বাচন বন্ধ করতে পারে।

প্রশ্ন

নির্বাচন কমিশনকে তো কখনো এ ক্ষমতা ব্যবহার করতে দেখা যায় না।

বদিউল আলম মজুমদার: কারণ, অনুগত ব্যক্তিদের নিয়ে কমিশন হয়। আগে তো আমাদের এত খারাপ অবস্থা ছিল না। ২০১৪ সালে ১৫৩ জন ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হয়ে আসা, তারপর মধ্যরাতের ভোটের অভিযোগ, এ রকম তো ছিল না। আমাদের রকিবউদ্দীন কমিশন এবং নূরুল হুদা কমিশনের এ ক্ষমতা ব্যবহারের সুযোগটা ছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে একটা মামলাও হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত নির্বাচন কমিশনও স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করেনি।

প্রশ্ন

একটি ভালো নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আর কী কী দরকার?

বদিউল আলম মজুমদার: সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সরকার, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজ—সবার সঠিক ভূমিকা প্রয়োজন। গণমাধ্যমের একটি বড় অংশ সঠিকভাবে রিপোর্ট করতে পারছে না বা করছে না। নাগরিক সমাজ দলীয় হয়ে গেছে, রাজনৈতিক দলগুলো সিন্ডিকেটে পরিণত হয়েছে। এসব সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বাচনকালীন সরকার। নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন না করলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে প্রায় অসম্ভব।

প্রশ্ন

নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার কেমন হতে পারে? তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা তো বাতিল হয়ে গেছে।

বদিউল আলম মজুমদার: তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে আওয়ামী লীগ আন্দোলন করেছিল। এর যৌক্তিকতা আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর দারিদ্র্য দূরীকরণ: কিছু চিন্তাভাবনা বইয়ে বলেছেন, ‘কোনো সরকার যদি জানে, নির্বাচনকালীন সময়ে তারা ক্ষমতায় থাকবে না, তখন তারা জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ হবে, জনগণের কল্যাণে কাজ করবে। কারণ নির্বাচনকে তারা প্রভাবিত করতে পারবে না।’ এ কথাটা এখনো সত্য। বিএনপি রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে জালিয়াতির নির্বাচন করার চেষ্টা করেছে। এ ব্যবস্থার সংস্কার হতে পারে। পরিবর্তিত রূপে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার হতে পারে। নির্বাচনকালীন সরকারে সব দল, গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিত্ব থাকতে পারে। আরেকটি বিকল্প হতে পারে প্রধানমন্ত্রী ১৮ অক্টোবর ২০১৩ সালে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বিরোধী দলকে নিয়ে একটি নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব করেছিলেন; এটাও হতে পারে।

প্রশ্ন

এখন প্রচলিত ব্যালটের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোট হচ্ছে। এটা নিয়েও রাজনৈতিক বিতর্ক আছে।

বদিউল আলম মজুমদার: আমাদের ইভিএমের বড় দুর্বলতা হলো পেপার অডিট ট্রেইল না থাকা। ইভিএমের মেমোরিতে যে ডেটা থাকবে, সেটাই গ্রহণ করতে হবে। নতুন করে নিরীক্ষার সুযোগ নেই। এটা নির্বাচন কমিশন ও কমিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাঁরা যেকোনো তথ্য ইভিএমের মেমোরিতে ইনসার্ট করতে পারেন। যেমন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে দুবার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এটাতে ডিজিটাল কারচুপির সুযোগ আছে।

প্রশ্ন

সম্প্রতি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে ৫৪ জন নাগরিক গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন। আপনিও বিবৃতিদাতাদের একজন। আপনারা বলেছেন, জনগণের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক অনাস্থা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে তীব্র শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এ শঙ্কা দূর করার উপায় কী?

বদিউল আলম মজুমদার: মানুষ এখন ভোট দিতে চান না। ক্ষমতাসীন দলের অনেকেও আর ভোট দিতে যান না। কারণ, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনব্যবস্থার প্রতি ব্যাপক অনাস্থা তৈরি হয়েছে। যাঁরা ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পাবেন, তাঁরাই নির্বাচিত হবেন। এ অবস্থার উত্তরণে সদিচ্ছা, সঠিক ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া এবং এ জন্য একটি আইন করে কিছু বিধিনিষেধ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। না হলে একটা মহাসংকটের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। সবার এখন দায়িত্বশীল আচরণ করা প্রয়োজন।

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।

বদিউল আলম মজুমদার: আপনাকেও ধন্যবাদ।