সরকার মানুষের জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারবে না, কেবল গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। নাগরিক ঐক্যের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পদযাত্রা শেষে আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেও পদ্মা সেতু ছাড়া সরকারের অন্য কোনো দিকে লক্ষ নেই বলেও মন্তব্য করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, পুরো মিরপুর আজ বন্ধ। গতকালও বন্ধ ছিল। পোশাক কারখানার হাজারো শ্রমিক পথে নেমেছেন। তাঁদের দাবি, হয় নিত্যপণ্যের দাম কমান, নয়তো আমাদের বেতন বাড়ান। সরকার কোনোটাই করতে পারছে না। বরং পদ্মা সেতু উদ্বোধনের নামে দেশব্যাপী কোটি কোটি টাকা খরচ করে উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছে। চট্টগ্রামে কী হৃদয়বিদারক একটা ঘটনা ঘটেছে। অন্য কোনো দিকে সরকারের লক্ষ নেই।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন দেবে না। ভোটের নামে ডাকাতি করবে। এবার আর ডাকাতি করা না গেলে মেশিন দিয়ে ডাকাতি করবে, সে জন্য ইভিএমের কথা বলছে। জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারবে না। মানুষের জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারবে না। কেবল গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে চায়।
পদ্মা সেতু হোক, তা সবাই চায় উল্লেখ করে মান্না বলেন, ‘সরকার এমন ভাব করছে যেন আমরা সবাই পদ্মা সেতুর শত্রু। আমরা শুধু বলছি যে সেতু ১২ হাজার কোটি টাকা দিয়ে নির্মাণ করা যাবে বলেছিলেন, সেখানে ইতিমধ্যে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এত টাকা কীভাবে খরচ হলো, আমরা সেটার হিসাব চাই।’
দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ দেশের নানা সংকটের দিকে ইঙ্গিত করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এত বড় দুর্যোগের মধ্যে সরকার ঘোষণা দিয়েছে ১০ লাখ লোকের জমায়েত করবে। কেন? দেখাবেন যে আমাদের অনেক শক্তি আছে? আপনাদের তো শক্তি আছেই, আছে বলেই তো ভোট ডাকাতি করেন।’
ভেদাভেদ ভুলে গোটা জাতি মিলে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উদ্যাপন করুক এমন দৃষ্টিভঙ্গি সরকারের নেই বলে এ সময় অভিযোগ করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) বলছে, নিয়মের ব্যত্যয় না হলে খালেদা জিয়াকে দাওয়াত দেবে। এই সরকার নিয়মের, আইনের বা গণতান্ত্রিক সরকার? যদি না হয় তাহলে আপনাদের এত আইন নিয়ম দেখানোর দরকার কী? এ জন্যই আমরা এই সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।’
নাগরিক ঐক্য ক্ষমতায় গেলে ছয় কোটি মানুষকে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানান মাহমুদুর রহমান মান্না।