ভাই জি এম কাদেরকে জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন পার্টি চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। গত বৃহস্পতিবার ভাইকে সেই পদ ফিরিয়ে দেন। আজ শনিবার নিজের অবর্তমানে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের জন্যও ভাইকে মনোনীন করলেন এরশাদ। আগে একবার ভাইকে উত্তরসূরি ঘোষণা করে সেই নির্দেশ থেকে সরে এসেছিলেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
আজ এরশাদের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ২২ মার্চ তারিখে আমার স্বাক্ষরিত একটি সাংগঠিক নির্দেশ জারি করেছিলাম, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছিল। উক্ত সাংগঠনিক নির্দেশ অত্র সাংগঠনিক নির্দেশ দ্বারা বাতিল ঘোষণা করছি।’
এইচ এম এরশাদ বলেন, ‘আমি আবারও জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতা–কর্মীদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে আমার অবর্তমানে বা চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিদেশে থাকাকালে পার্টির বর্তমান কো–চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। অত্র সাংগঠনিক নির্দেশ দ্বারা পুনর্বহাল করলাম।’
এরশাদ বলেন, ‘পুনরায় আমি জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতা–কর্মী–সমর্থক–শুভান্যুধায়ী এবং সংশ্লিষ্ট সব মহলের জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই, আমার অবর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিদেশে থাকাকালে পার্টির কো চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।’
জাপার চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ গত ১ জানুয়ারি ছোট ভাই জি এম কাদেরকে দলে তাঁর উত্তরসূরি ঘোষণা করেন। তাঁকে সংসদে বিরোধী দলের উপনেতার দায়িত্বও দেন। এরপর ২১ মার্চ রাতে ‘সাংগঠনিক কার্যক্রমে ব্যর্থতা’ ও ‘দলে বিভেদ’ তৈরির কথা উল্লেখ করে আকস্মিকভাবেই কাদেরকে কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেন এরশাদ। পরদিন এক ‘সাংগঠনিক নির্দেশে’ তাঁকে সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতার পদ থেকেও অপসারণ করেন। ওই দিনই উপনেতার পদে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করেন রওশন এরশাদকে। এ নিয়ে দলটিতে আবার অস্থিরতা শুরু হয়।