এক যুগ ধরে বিএনপির ঈদ নেই বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে ‘বিষোদ্গারের রাজনীতির’ ধারাবাহিকতা আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শনিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক যে বিএনপি এবং তাদের মহাসচিব পবিত্র ঈদের দিনও হীন রাজনৈতিক বক্তব্য থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি, বিষোদ্গারের রাজনীতিটা অব্যাহত রেখেছেন।’
গতকাল শুক্রবার ঈদুল ফিতরের দিন রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ঈদ বলতে যেটা বোঝায় সেই ঈদ এক যুগ ধরে তাঁদের নেই। নেতা-কর্মীদের ‘হত্যা, গুম, মিথ্যা মামলা দেওয়া’—এমন একটা অবস্থা, যেন এই দেশে শুধু তাঁদের নেতা-কর্মীরাই আসামি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আসলে ১৫'আগস্ট জন্মদিন পালনকারী বেগম জিয়ার জন্মদিনের গুমর করোনা টেস্ট রিপোর্টে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় মির্জা ফখরুল সাহেবরা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। জনগণ ১২ বছর ধরে যে উদ্দীপনায় ঈদ উদ্যাপন করেছে, তা অভাবনীয়।’
ঈদ উদ্যাপন প্রশ্নে বিএনপির প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো উচিত বলেও মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে কারাগারেই খালেদা জিয়ার ঈদ উদ্যাপন করার কথা। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ‘মহানুভবতায়’ শাস্তি স্থগিত রেখে তাঁকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এ জন্য বিএনপির উচিত প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো।
করোনা মহামারি মোকাবিলা নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের ঠিক নীতির কারণেই ভারত, নেপালসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেক ভালো। মানুষের জীবন ও জীবিকাকে সমন্বয় করে সরকার যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার কারণেই করোনা যেমন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, হাহাকারও নেই।’
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের দাবি না থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকার মানুষের মোবাইলে সরাসরি প্রণোদনার অর্থ পাঠিয়েছে, যা কেউ আগে ভাবেনি। এখানে অন্য কিছু হওয়ার সুযোগ নেই জেনেও বিএনপি নানা কথা বলে তাদের ‘দোষারোপের রাজনীতি’ চালিয়ে যাওয়ার স্বার্থে।