জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নে ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এ ঘটনায় গণতন্ত্র ও মৌলিক মানবাধিকার নির্যাতিত হয়েছে। এই ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ, উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কামাল হোসেন বলেছেন, ভোটের দিন রাতে সুবর্ণচরের ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীর (৪০) ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে। জাতি হিসেবে এ ঘটনা সবাইকে অত্যন্ত হেয় প্রতিপন্ন করেছে। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এমন ঘটনা কল্পনা করা কঠিন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিবৃতিতে কামাল হোসেন বলেন, ‘এই ঘটনা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, মৌলিক মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হুমকির সম্মুখীন করেছে এবং এতে আমরা ভীষণ ভাবে ক্ষুব্ধ, উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত।’ এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য তিনি দেশের জনগণকে উদ্যোগী হওয়ার জন্য বলেন। তিনি আরও বলেন, এই লজ্জা সমগ্র জাতির। ওই নারী নির্যাতিত নয়, বরং নির্যাতিত হয়েছে গণতন্ত্র ও মৌলিক মানবাধিকার।
৩০ ডিসেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী-সন্তানকে বেঁধে তাঁকে পিটিয়ে আহত করা হয় এবং ধর্ষণ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্র ধরে বিবৃতিতে গণফোরাম সভাপতি বলেন, নির্যাতনের শিকার ওই নারী তাঁর নিজ এলাকার একটি ভোট কেন্দ্রে নিজের পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে চাইলে, ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির জেরে তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
সরকার এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে সন্ত্রাসী ধর্ষকদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় কামাল হোসেন দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।