‘নোয়াখালী চালাই আমি’ বলার পরদিন নোয়াখালী আওয়ামী লীগকে নিয়ে চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ তুললেন সাংসদ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী। আজ শনিবার বিকেলে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এই অভিযোগ করেন।
একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালী-৪ আসনের (সদর ও সুবর্ণচর) সাংসদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
প্রায় দুই মিনিটের লাইভে একরামুল করিম চৌধুরী দাবি করেন, ‘নোয়াখালী আওয়ামী লীগ এক, অভিন্ন। আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নাই। কোনো ব্যক্তিবিশেষের জন্য আওয়ামী লীগ নয়। কোনো ব্যক্তিবিশেষ লাইভে কিছু বললেই ক্ষতি হবে, এটা সেই আওয়ামী লীগ না। নোয়াখালী আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী আওয়ামী লীগ।’
লাইভে একরামুল করিম চৌধুরী ৭ মার্চ উপলক্ষে আগামীকাল রোববার বিকেলে সোনাপুর কলেজ মাঠে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দিতে নেতা–কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘যাঁরা মুজিব প্রেমিক, শেখ হাসিনার সৈনিক, আমি সকলকে অনুরোধ করব আপনারা যে যেখানে থাকেন; আপনারা যদি আপনাদের এমপিকে ভালোবাসেন, আগামীকাল বিকেল ৩টার প্রোগ্রামে যে যেখান থেকে পারেন ছুটে আসবেন। কারণ, নোয়াখালী আওয়ামী লীগ নিয়ে একটা চক্রান্ত চলছে। আমরা একটু বুঝিয়ে দিতে চাই, আমরা নোয়াখালী আওয়ামী লীগ এক, অভিন্ন।’
এর আগে গতকাল শুক্রবার দুপুরে জেলার সুবর্ণচরের চরজব্বর থানা ভবনের নিচতলার ফাঁকা জায়গায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, ‘গত ছয় দিন আমি ঢাকাতে ছিলাম। আমি নেত্রীকে কতগুলো ম্যাসেজ (বার্তা) পাঠিয়েছি, উনি ম্যাসেজগুলো দেখেছেন। ঢাকায় নেত্রীর সঙ্গে যিনি সব সময় থাকেন, তিনি আমার কাছে জানতে চান, নোয়াখালী চালায় কে? আমি বলি, নোয়াখালী চালাই আমি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার প্রায় দুই মাস ধরে দেওয়া নানা বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড দেশজুড়ে আলোচিত হয়। তিনি ওই এলাকার দুজন সাংসদের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও ‘অপরাজনীতির’ অভিযোগ করে আসছেন। এর মধ্যে সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী পরপর দুদিন এমন বক্তব্য দিলেন।
এদিকে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ উপলক্ষে আগামীকাল বেলা তিনটায় নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহরের দক্ষিণ প্রান্তের সোনাপুর কলেজ মাঠে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খানের আহ্বানে একই দিন বেলা ১১টায় পৌরসভা ভবন-সংলগ্ন হাউজিং বালুর মাঠে পৃথক সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।