দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা মনে করেন তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতের দেওয়া রায় একতরফা। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে তিনি আপিল করবেন। তাঁর অভিযোগ, এই মামলায় ‘আইনের অস্বাভাবিক’ প্রয়োগ হয়েছে।
রায় ঘোষণার পর আজ মঙ্গলবার টেলিফোনে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে সাদেক হোসেন এ কথা বলেন। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ক্যানসারের চিকিৎসার নিচ্ছেন। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে টানা চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আজ দুপুরে বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন-সংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় সাদেক হোসেন খোকাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ১১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড ও সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে খোকা বলেন, এটি একতরফা রায়। আদালত তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবীকে পর্যন্ত দাঁড়াতে দেননি। তাঁকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে এই রায় দেওয়া হয়েছে। তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে তাড়াহুড়ো করে এই মামলার কার্যক্রম শেষ করে, তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ না দিয়ে সাজা দেওয়া হয়। এই মামলাও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
খোকা দেশে নেই, আদালত তাঁকে কীভাবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেবে—জানতে চাইলে ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক এই মেয়র বলেন, হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসার জন্য এসেছেন। ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকেরাও বলেছেন, টানা চিকিৎসা করাতে হবে। এ কারণে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে হচ্ছে। চিকিৎসকদের এ সংক্রান্ত কাগজপত্র তিনি বিশেষ জজ আদালতে জমাও দিয়েছিলেন। কিন্তু আদালত তাঁর কোনো আবেদন গ্রহণ করেননি।
এখন কী করবেন—জানতে চাইলে খোকা বলেন, ‘আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করব। আমার ক্ষেত্রে আইনের অস্বাভাবিক প্রয়োগ হয়েছে। আপিল তো করতেই হবে।’