আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অনুমতি না নিয়ে বিএনপির সভা-সমাবেশ করার ঘোষণা হাস্যকর। অনুমতি না নিয়ে সভা-সমাবেশ করার সেই সাহস, শক্তি বা সক্ষমতা বিএনপির নেই।
আজ সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা তাদের নেত্রীকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে ৫০০ কর্মী নিয়ে একটি মিছিল-মিটিং করতে পারেনি। তারা কীভাবে অনুমতি না নিয়ে সভা-সমাবেশ করবে? বিষয়টি হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়। অনুমতি না নিয়ে সভা-সমাবেশ করার সেই সাহস, শক্তি বা সক্ষমতা বিএনপির নেই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তখন আমরাও অনুমতি না নিয়ে সভা-সমাবেশ করতে পারিনি। আমাদের সময় এমনও হয়েছে, আগের দিন রাতে আমরা সভার অনুমতি পেয়েছি।’
নতুন সড়ক পরিবহন আইনের সহনীয় প্রয়োগ করা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনের প্রয়োগে যতটা সহনীয়ভাবে দেখানো যায় দেখব। বাস্তবতার নিরিখে রয়ে সয়ে চলতে হবে। কারণ, বাস্তবতা ভিন্ন। সিদ্ধান্ত তো চাপিয়ে দেওয়া হয়নি, সবার সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, সড়ক আইনের বিষয়টি নিয়ে সমস্যা সমাধানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যখন পরিবহন নেতাদের সঙ্গে তিনি যখন বৈঠক করেছেন আমার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। যদি যাচাই-বাছাই করে সংশোধনের কোনো বাস্তবসম্মত, যুক্তিসংগত ও ন্যায়সংগত কোনো বিষয় থাকে সেটা অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, যাচাই-বাছাই করার আগে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার আগে তাদের দাবি নিয়ে হুট করে আমি তো কোনো মন্তব্য করতে পারি না। আইন টি যেহেতু সংসদে পাশ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বিষয়টি আলোচনা করব।
বিআরটিএ’র জনবল বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রুত জনবল সংকটের সমাধান হবে। চালক তৈরির জন্য বিরাট প্রকল্প আছে, বিআরটিসি ও বিআরটিএ উদ্যোগ নিয়েছে। দক্ষ চালক সৃষ্টিতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।