উপকূলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়। দিন বাড়তে বাড়তে ঝড়–বৃষ্টির পরিমাণও বাড়তে থাকে। এতে করে দুর্গত মানুষেরা বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেন। উঁচু ঢেউ উপকূলীয় এলাকায় আছড়ে পড়তে থাকে। পানি বেড়ে ডুবে যায় নদী তীরবর্তী এলাকা। ঝড়ে গাছও উপড়ে পড়ে সড়কে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ভোলা, বরিশাল ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয়।
দিনের শেষে ঝড়ো বাতাস বাড়তে থাকে উপকূলীয় অঞ্চলে। নিরাপদে ছুটছেন উপকূলের মানুষ। মদিনাবাদ, কয়রা উপজেলা, খুলনা
ছবি: সাদ্দাম হোসেন
৭ নম্বর সতর্কসংকেত চলছিল উপকূলে। শিশুকে জড়িয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছেন এক মা। হরিণখোলা, কয়রা উপজেলা, খুলনা
সিত্রাংয়ের প্রভাবে বিঘাই নদের জোয়ারে ডুবে গেছে তীরবর্তী এলাকাসহ আশপাশের গ্রাম–সড়ক। সন্তানকে নিয়ে নাসিমা বেগম গিয়েছিলেন তাঁর বাবার বাড়ি বেড়াতে। কিন্তু পানি বেড়ে বাড়ি ডুবে যাওয়ার আতঙ্কে শ্বশুরবাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তিনি। বিকেল পৌনে চারটা, দাড়িয়াল গ্রাম, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় দুর্গত মানুষদের নৌকাযোগে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। শ্যামনগর, সাতক্ষীরা
পানিতে তলিয়ে গেছে নদীতীরবর্তী এলাকা। ডুবে গেছে ফেরিতে ওঠার সড়ক ও গ্যাংওয়ে। নেহালগঞ্জ ফেরিঘাট, সদর উপজেলা, বরিশাল
আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন দুর্গত মানুষেরা। দক্ষিণ চর চান্দিয়া আজিজুল হক মায়মুন আরা উচ্চবিদ্যালয়, সোনাগাজী, ফেনী
ঝোড়ো হাওয়ায় সড়কের ওপর ভেঙে পড়া গাছের ডালপালা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সোমবার রাত ৯টা, সন্তোষপুর, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম
মহেশখালীর ধলঘাট ইউনিয়নে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন নিম্নাঞ্চলের দুর্গত মানুষ। সাপমারার গেইল আশ্রয়কেন্দ্র, মহেশখালী, কক্সবাজার
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দিনভর অবারিত বৃষ্টিতে নগরের সব রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। আগরপুর সড়ক, বরিশাল
আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের ভিড়। শরইতলা, ধলঘাট, মহেশখালী, কক্সবাজার