ভাষার জন্য ভালোবাসা

পরনে তাদের হলুদ রঙের টি–শার্ট। তাতে লেখা ‘অমর ২১শে’। সাইকেলে জায়গা পেয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রওনা হয়েছেন ৮ জন ভিনদেশি সাইক্লিস্ট। দেশ দুটি হলেও ভাষা একই, বাংলা। আর এই ভাষার প্রতি ভালোবাসা জানাতে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চন্দননগর থেকে ভালোবাসা দিবসের দিন (১৪ ফেব্রুয়ারি) রওনা দিয়েছেন তাঁরা। দুই বাংলার মেলবন্ধন দৃঢ় করতে দুই চাকায় ভর করেই মাতৃভাষা দিবসের আগে ঢাকা পৌঁছাবেন তাঁরা। সিঙ্গুর মহামায়া স্কুলের শিক্ষক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই ইন্দো বাংলা আন্তর্জাতিক সাইকেল সফরের সঙ্গী হয়েছেন আরও ৬ জন—প্রণবকুমার মাঝি, শ্রীকান্ত মণ্ডল, প্রসেনজিৎ সরকার, রমজান আলি, সত্যব্রত ভান্ডারী ও অঞ্জন কুমার দাস। প্রথম পাঁচ দিন সাইকেল চালিয়ে রানাঘাট, গেদে, চুয়াডাঙ্গা হয়ে কুষ্টিয়া, পাবনা, কাশীনাথপুর যাবেন তাঁরা। সেখান থেকে মানিকগঞ্জ হয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় পৌঁছাবেন ওই সাইক্লিস্টরা। ২১ ফেব্রুয়ারি প্রভাতফেরিতে অংশ নিয়ে বাংলা ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। দলটির চলার পথে পাবনা জেলার কিছু ছবি নিয়ে এই ছবির গল্প।

চরের বুকে সাইকেল চালিয়ে চলছেন তাঁরা।
চরের বুকে সাইকেল চালিয়ে চলছেন তাঁরা।
কুষ্টিয়া থেকে পাবনা নদীপথে পার হন তাঁরা। এর আগে কুষ্টিয়ায় রবীন্দ্র কুঠিবাড়ী ও লালন শাহের মাজার পরিদর্শন করেন।
মেঠো পথ, ধুলাবালু কিংবা পিচঢালা রাজপথে ছুটে চলে তাঁদের সাইকেল।
দূর থেকে দূরান্ত ঘুরছে সাইকেলের চাকা।
পথের মাঝে চা পানের জন্য যাত্রাবিরতি।
বিরতিতে আছে সাইকেলগুলোও।
সবার পেছনে লেখা তাঁদের নিজেদের নাম।
দলের একমাত্র নারী সদস্য মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়স ৫০–এর ওপরে।
দুই দেশের পতাকা শোভা পাচ্ছে প্রত্যেকের সাইকেলে। টি-শার্টে লেখা বাংলা ভাষায় কবিতা।
পাবনা মানসিক হাসপাতাল ভ্রমণ শেষে।
দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়।
শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রম পরিদর্শন।
দুই বাংলার জনপ্রিয় কিংবদন্তি মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়ির সামনে।
এভাবেই চলতে চলতে পথ পেরিয়ে ঢাকা পৌঁছে যাবেন তাঁরা।