বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার নিজবলাইল এলাকায় যমুনা নদীসংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। পাশেই বিশাল এলাকাজুড়ে মরিচ, পেঁয়াজ, গম, মিষ্টিকুমড়া, মাষকলাই, ধনে ও ডালের খেত। এর কাছাকাছি বিস্তর বালুচর। সেখানে প্রায় এক মাস আগে শতাধিক মহিষ নিয়ে বাথান গড়ে তুলেছেন চান্দু ব্যাপারী। বাড়ি তাঁর যমুনার চকরথিনাথচরে। দুই বছর আগে যমুনা গিলে ফেলছে চরটি। এখন বাড়িঘর ভেঙে চান্দু ব্যাপারী ঠাঁই নিয়েছেন নিজবলাইলের ভেড়ামারা এলাকায়। সেখানে নতুন করে ঘর বেঁধে বসবাস করছেন।
চান্দু ব্যাপারীর মহিষ দেখাশোনা করেন মেজ ছেলে আন্নু ব্যাপারী। তিনি মহিষের বাথান করে লালন-পালন করছেন।
আন্নু ব্যাপারী প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন মহিষ পালন করে প্রতিটি মহিষের নাম দিয়েছেন। একটির নাম দিয়েছেন মালা। জন্মের পর গলায় মালার মতো ছিল বলেই তার নাম দিয়েছেন মালা। আরেকটি মহিষের লাউফুল। ছোটবেলা থেকে বেশি বেশি লাউফুল খেত বলেই এমন নাম হয়েছে। যমুনার চরের এ মহিষবাথান ঘুরে ছবিগুলো তুলেছেন সোয়েল রানা।