শীতকালে খেজুরগাছ প্রস্তুত করা, রস সংগ্রহ আর সেই রসে নালি তৈরি—প্রায় ৩৬ বছর ধরে এ কাজ করছেন বাদশা মোল্লা। তাঁর এ কাজে সহযোগিতা করেন স্ত্রী জমেলা বেগম। তাঁদের বাড়ি বগুড়ার কাহালু উপজেলার ভিটিসোনাই গ্রামে। গ্রামটির ভেতর দিয়ে পাকা সড়ক। পথের দুধারে সারি সারি ছোট–বড় খেজুরগাছ। খুব সকালে স্ত্রী জমেলা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহে বের হন বাদশা। কুয়াশাঢাকা পথে সামান্য দূরের কোনো কিছু দেখা যায় না। গাছ থেকে বাদশা-জমেলা দম্পতি রসভর্তি হাঁড়ি নামান। সেই রস বাড়ির উঠানের চুলায় জ্বাল দিয়ে রসের নালি তৈরি করেন তাঁরা। প্রতি কেজি নালির দাম ১১০ থেকে ১২০ টাকা। ছবি তুলেছেন সোয়েল রানা।
কুয়াশাঢাকা শীতের সকালে গাছ থেকে হাঁড়ি নামাচ্ছেন বাদশা মোল্লাগাছ থেকে রস পাড়ার পর বালতি ও হাঁড়িতে ঢালা হচ্ছেরস হাঁড়ি থেকে ঢেলে আবার গাছের নিচে হাঁড়ি রাখতে যাচ্ছেন জমেলা বেগমড্রামে রস ঢেলে ভ্যানে করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন জমেলা বেগম। পেছনে হেঁটে আসছেন জমেলার ছেলেখেজুরের রস ড্রাম থেকে ঢালছেন বাদশা মোল্লাতাড়াতাড়ি নালিতে রূপান্তরের জন্য চালের গুঁড়ো রসের মধ্যে দিচ্ছেন জমেলাখেজুরের নালি তৈরিতে জাল দেওয়া হচ্ছে রসেআরেকটু জ্বাল দিলেই নালি হয়ে যাবে। হাতা দিয়ে দেখছেন জমেলানালি তৈরি হয়ে গেছে। চুলা থেকে নামানো হচ্ছেখেজুরের রস থেকে নালি তৈরি সম্পন্ন। এখন কাপড় দিয়ে ছেঁকে বাসনে তুলছেন বাদশা মোল্লা-জমেলা দম্পতি