মোগল রীতিতে নির্মিত মসজিদটিতে ফারসি শিখতেন কবি মধুসূদন দত্ত

তিন গম্বুজবিশিষ্ট শেখপুরা জামে মসজিদ। মোগল স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত মসজিদটি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে অবস্থিত। সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের একটি সমৃদ্ধ গ্রাম শেখপুরা। গ্রামের নামেই মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে।

১৯৯৭ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মসজিদটি সংস্কার করে এবং পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা দেয়।

কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাল্যকালের ‘পাঠশালা’ এই মসজিদ। মসজিদের সামনে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সাইনবোর্ড। তাতে লেখা, ‘এ মসজিদে শিশু মধুসূদন ফারসি ভাষা শিখতেন। মসজিদটির নির্মাণকাল আনুমানিক খ্রিষ্টীয় ১৮ শতক।’

মসজিদের সামনের বারান্দার আটটি স্তম্ভ রয়েছে। মসজিদের ভেতরে প্রবেশের জন্য রয়েছে তিনটি দরজা।
মসজিদের নির্মাণশৈলী মোগল সাম্রাজ্যের স্মৃতি বহন করে।
মসজিদের ভেতরে ইমাম বসার স্থান।
মসজিদের ভেতরে নামাজ আদায় করছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করতে দূরদূরান্ত থেকেও মানুষ আসেন এ মসজিদে।
মসজিদের সামনের চত্বর, নামাজের সময় মুসল্লি বেশি হলে এ চত্বরেও নামাজ আদায় করা হয়।
মসজিদের এক পাশে রয়েছে অজুখানা।
তিন গম্বুজবিশিষ্ট শেখপুরা জামে মসজিদ মোগল স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত।
বাইরে থেকে মসজিদের চিত্র। মসজিদের মূল স্থাপনার দৈর্ঘ্য ২১ দশমিক ৫ মিটার ও প্রস্থ ১৬ দশমিক ৬ মিটার এবং উচ্চতা ১২ মিটার।
পুরাতত্ত্ব অধিদপ্তরের সাইনবোর্ড।