লোনাপানি ছাড়া বাগদা চিংড়ি হয় না। আপ্ত এ বাক্যটি ভুল প্রমাণ করলেন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার হাসানপুর গ্রামের মো. তবিবুর রহমান জোয়ার্দ্দার। তিনি মিঠাপানিতে বাগদার চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। উৎপাদনও আশাব্যঞ্জক বলে জানালেন এই চাষি। পাঁচ বছর ধরে মিঠাপানিতে বাগদা চিংড়ির চাষ করছেন তিনি। মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, লোনাপানির বাগদা ও মিঠাপানির বাগদার স্বাদ একই, কোনোভাবেই আলাদা করা যাবে না। মিঠা ও লোনা—দুই ধরনের পানিতে চিংড়ির বৃদ্ধির হারও প্রায় একই ধরনের। চিংড়ির পাশাপাশি এই চাষি একই পুকুরে মাছ ও ধান চাষও করছেন। ছবিগুলো গত ২৬ আগস্ট তোলা।
মিঠাপানিতে বাগদা চিংড়ি চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন তবিবুর রহমান জোয়ার্দ্দার। তবিবুরের পুকুরে বাগদা চিংড়ি। ১২০ দিনের পূর্ণ বয়স্ক বাগদা। পুকুরের বাগদা ও অন্যান্য মাছ জাল টেনে তুলছেন শ্রমিকেরা। চিংড়িগুলো বেশ লাফালাফি করে। তাই জাল টানতে বেগ পেতে হয় শ্রমিকদের। কয়েক ধাপে পুকুরের চিংড়ি একত্রিত করে তোলা হয়। ঝুড়িতে করে চিংড়ি তোলা হচ্ছে পুকুর থেকে। একসঙ্গে এত চিংড়ি দেখে উৎফুল্ল সবাই। বাগদা চিংড়ি তুলে দেখাচ্ছেন এক শ্রমিক। চিংড়ির পাশাপাশি মিঠাপানির এই পুকুরে অন্য মাছের চাষও হয়। পুকুর থেকে তোলার পর বাগদা চিংড়ি এনে একত্রিত করা হচ্ছে। গ্রেড অনুযায়ী চিংড়ি পৃথক ক্যারেটে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে। চিংড়িভর্তি ক্যারেট মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকেরা।