শাপলা যখন আয়ের উৎস

ঋতু হিসেবে বর্ষা বিদায় নিয়ে এখন শরৎ। কিন্তু এখনো দেশের বিভিন্ন নিচু এলাকা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে আছে। আর বিলগুলো ফিরে পেয়েছে প্রাণ। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান এর প্রমাণ। বিলগুলো শাপলায় ছেয়ে আছে। এখানকার কৃষকেরা এখন শাপলা ফুল থেকে আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন।  

ইছামতী নদীর আশপাশ থেকে নৌকাযোগে ঘাটে নিয়ে আসা হচ্ছে শাপলা ফুল।
ইছামতী নদীর আশপাশ থেকে নৌকাযোগে ঘাটে নিয়ে আসা হচ্ছে শাপলা ফুল।
নৌকা থেকে ৬০টি ফুলের ডাঁটা নিয়ে একটি করে আঁটি বানানো হচ্ছে।
ডাঁটাসহ ফুল পানিতে পরিষ্কার করে ঘাটে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে।
শাপলার ডাঁটা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পাইকারের ট্রাকে তোলার জন্য।
সকাল থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত কাজ করলে ৪০টি পর্যন্ত আঁটি বাঁধা যায়, এমন ফুল তোলা যায়। প্রতি আঁটি পাইকারের কাছে তাঁরা বিক্রি করেন ২৫ টাকা দরে।
এই বাজারগুলোতে পাইকারি দরে শাপলা কেনাবেচা চলে। এই শাপলার ডাঁটার একটি বড় অংশই চলে যায় রাজধানীতে।
বেলা তিনটার মধ্যেই প্রায় ১০টি নৌকার মাঝি শাপলা তুলে চলে আসেন ঘাটে।
বর্ষার দুর্দিনে বিল এলাকার অনেক মানুষেরই এখন একটু বাড়তি আয়ের ভরসা জাতীয় ফুল শাপলার ডাঁটা।