শর্ষের তেলের নানা গুণ। তবে তা যদি হয় খাঁটি, অর্থাৎ কাঠের ঘানি থেকে ভাঙানো, তবে তো কথাই নেই। তেঁতুল কাঠের ঘানিতে চাপ কম হয়ে থাকে, তাই তাপও কম উৎপন্ন হয়। এর ফলে যে তেল বের হয়, সেটা উৎকৃষ্ট মানের হয়। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের কাঠের ঘানি বিলুপ্তির পথে। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার নরনিয়া এলাকার আবদুল গফুর বিশ্বাস ধরে রেখেছেন সে ঐতিহ্য। তাঁর কাঠের ঘানি নিয়ে এ ছবির গল্প।
ঘানিতে শর্ষে ঢালছেন গফুর। নিজেই ঘানি চালিয়ে আগে ঠিক করে নিচ্ছেন।গরু ঘানির সঙ্গে বেঁধে চোখ ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। যেন ঘুরতে থাকা গরুর মাথা না ঘোরে।শুরু হয়েছে গরুর অনবরত ঘুরতে থাকার পালা। গফুর বিশ্বাসের নাতি খেলাচ্ছলে চড়ে বসেছে ঘানির ওপর। ঘানিতে শর্ষে ভেঙে তেল পড়ছে ফোটায় ফোটায়। গফুর বিশ্বাসের স্ত্রী ঘানির শর্ষে ঠিকঠাক করে দিচ্ছেন। তিনটি গরু দিয়ে সারা দিন ঘানি চালান গফুর।ছয় কেজি শর্ষে ভাঙিয়ে দুই কেজির মতো শর্ষের তেল বের হয়। নিজের মতো একা একা ঘুরছে গরু, চলছে ঘানি। আর সে ফাঁকে বিশ্রাম নিচ্ছেন গফুর।ভাঙানো শর্ষের তেল রোদে দেওয়া হয়েছে। এতে তেলের গুণগত মান ভালো থাকে।একজন ক্রেতার কাছে পাল্লায় মেপে শর্ষের তেল বিক্রি করছেন গফুর। প্রতি কেজি শর্ষের তেল ৪০০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি।