জলাভূমির মহিষ

জমি চাষ, ভার বহন কিংবা দুধ উৎপাদনের জন্য হাওরাঞ্চলে অনেকে মহিষ পালন করেন। অন্যান্য গবাদিপশুর তুলনায় মহিষ পালন সহজ। নিম্নমানের খাদ্য খেয়েও টিকে থাকতে পারে মহিষ। পালনে খরচ কম হওয়ায় সিলেটের হাওরাঞ্চলের কৃষকেরা মহিষ পালন করেন। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোয় কৃষিকাজে মহিষের ব্যবহার দেখা যায় বেশি। মাঠ কিংবা হাওরে খাবারের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয় মহিষের পাল। শুকনা মাঠ, জলাভূমিতে নেমে দিনভর খাবার খায় মহিষ। শুষ্ক মৌসুমে হাওরে মহিষের জন্য তৈরি করা হয় বাথান। অন্যান্য সময় হাওরে খাবার খাওয়ানো শেষে নির্ধারিত খামারে রাখা হয় মহিষ। হাওরাঞ্চলে এসব মহিষ ‘জলাভূমির মহিষ’ হিসেবে পরিচিত। ছবিগুলো সম্প্রতি সিলেটে সদর, কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলা থেকে তোলা।

সদ্য কাটা আউশ ধানখেতে মহিষকে খাওয়াচ্ছেন এক ব্যক্তি। গোয়াইনঘাট, ফতেহপুর।
ধানখেতের পাশে ঘাস খাচ্ছে তিন মহিষ। ফতেহপুর এলাকায়।
কাদায় একাকার মহিষটি ঘাস খেতে ব্যস্ত।
ফিঙে পাখিকে ধরার চেষ্টা মহিষের।
খেতের মধ্যে জলকাদা। সেখানে বসে পড়েছে দুটি মহিষ।
খাওয়া শেষে মহিষের পাল নিয়ে যাচ্ছে এক কিশোর।
হাওরের পানিতে সারা দিন ঘাস খাওয়ানো শেষে মহিষ নিয়ে বাড়ি ফিরছে এক শিশু। জিলকার হাওর এলাকা।
বাড়ি ফিরছে লম্বা শিংয়ের মহিষ। জিলকার হাওর।
মহিষের পাল নিয়ে খামারের দিকে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। সিলেট সদরের জিলকার হাওর এলাকা।