খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় বয়ে গেছে ১১টি নদ-নদী। খাল-বিলে এসব নদ–নদীর লোনাপানির প্রবেশ ঠেকাতে এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে নদীর সঙ্গে সংযোগ খালের মুখগুলোতে ৭৫টি জলকপাট (স্লুইসগেট) রয়েছে। বর্তমানে ২৩টি জলকপাট একেবারে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। সেগুলো দিয়ে পানি নামতে পারছে না। ফলে ডুমুরিয়া উপজেলার একটি বড় অংশে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ডুবে আছে মাঠ-ঘাট, রাস্তা, বসতবাড়ি। ভেসে গেছে মাছের ঘের। দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি ও সংকটের চিত্র নিয়ে ছবি গল্প।
শোলমারী জলকপাটের মুখ পলি পড়ে আটকে যাওয়ায় কৈয়া নদীর পানি নামতে পারছে না। টানা বৃষ্টিতে বেড়েছে পানি। কিন্তু অকেজো জলকপাট দিয়ে পানি নামতে পারছে না। এতে তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। ভেসে যাচ্ছে ঘেরের মাছ। ডুমুরিয়ায় ডুবে যাওয়া একটি ঘেরের পাড়ে মশারির মতো নেট টানিয়ে মাছ ভেসে যাওয়া আটকাতে চেষ্টা করছেন এক মাছচাষি। অতিবৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বাড়ির উঠানে জমে থাকা পানির মধ্যে হাঁটছে একটি শিশু। ডুমুরিয়া উপজেলার একটি বড় অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। পানিতে তলিয়ে থাকা উঠানে দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত এক নারী। উঠান পেরিয়ে ঘরের ভেতরও ঢুকে গেছে পানি। খাটের ওপর বসে খাবার খাচ্ছে একটি পরিবার। রাস্তা ডুবে আছে পানিতে, শোলার ভেলায় বসে পানিতে ভেসে ভেসে চলছে দুই শিশু। ভেলায় চড়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছেন একজন। শোলমারী জলকপাটের মুখে জমা পলিমাটি কাটা হচ্ছে। পানিনিষ্কাশনের জন্য জলকপাটের দরজা খোলার চেষ্টা চলছে।