শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিল্পীদের অংশগ্রহণে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী উৎসব’। জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বর্ণিল এ উৎসবে বাংলাদেশে বসবাসকারী চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, পাংখোয়া, খাসিয়া, লুসাই, রাখাইন, গারো, হাজং, সাঁওতাল, ওঁরাও ও মণিপুরি শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা তাঁদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৩টি সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশিত হয়। এরপর অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে মূল পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
রাখাইন শিল্পীরা প্রদীপনৃত্য পরিবেশন করেন। তাঁদের কাছে প্রদীপ একটি শান্তির আলোক রশ্মি।ত্রিপুরা শিল্পীরা পরিবেশন করেন ‘হজাগিরি নৃত্য’। হজাগিরি ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী মাঙ্গলিক নৃত্য। চাকমা শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনা। নদীকেন্দ্রিক তাঁদের যে জীবনধারা, তা এ নাচে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।মণিপুরি দুই শিল্পী নৃত্য পরিবেশন করছেন। তাঁরা মৃদঙ্গের বিভিন্ন বোলে মন্দিরা বাজিয়ে নৃত্য পরিবেশন করেন।গারো শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করছেন। তাঁদের বিষয়বস্তু ছিল ‘জীবন ও প্রকৃতি’।পাংখোয়া সম্প্রদায়ের শিল্পীরা ‘শিং নৃত্য’ পরিবেশন করেন। হাজং শিল্পীরা গানের সঙ্গে ‘জীবনধারা’ নৃত্য পরিবেশন করছেন। তঞ্চঙ্গ্যা শিল্পীদের পরিবেশনা।মারমা শিল্পীরা তাঁদের ঐতিহ্যবাহী ‘উৎসব নৃত্য’ পরিবেশন করেন। এই নাচে মারমাদের তিনটি উৎসবের কথা বলা হয়েছে সাংগ্রাই, বিয়ে ও ভান্তে পোড়ানো।সাঁওতাল শিল্পীরা তির–ধনুক নিয়ে নৃত্য পরিবেশন করছেন। তাঁদের নৃত্যের প্রথম ও দ্বিতীয় অংশে ধর্মীয় উৎসব ‘বাহা’ ও ‘সহরায়’ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। লুসাই শিল্পীদের বাঁশনৃত্য। মৃত ব্যক্তির স্মারণার্থে এই নৃত্য পরিবেশিত হয়ে থাকে।খাসিয়া শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করছেন। তাঁদের পরিবেশনার নাম ছিল ‘একতাই বল’।ওঁরাও শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করছেন। বিয়ের অনুষ্ঠানকে ঘিরে তাঁরা এ নাচ করে থাকেন।