সমীরণের শিল্পকর্ম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়া শেষ করে মরা গাছের ডাল, শিকড়, কাঠের টুকরা ও গাছের গুঁড়ি দিয়ে সমীরণ দত্ত তৈরি করেন বিভিন্ন শিল্পকর্ম। ১৯৮৬-৮৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। পড়াশোনা শেষে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষকের কাজ করলেও মন পড়ে থাকত কাঠের ভাস্কর্য তৈরিতে। সুযোগ পেলেই নানা জায়গায় গিয়ে হাত পাকিয়েছেন। এরপর সব ছেড়ে ২০১৮ সালে গড়ে তুলেন মনবাগান আর্ট পার্ক। সেখানে গাছের শিকড় দিয়ে তৈরি করা বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে রয়েছে বিশেষ করে ঘোড়া, প্রজাপতি। গাছের গুঁড়ি দিয়ে তৈরি করা হয় খাট, সোফা, শোপিস স্ট্যান্ড, ডাইনিং টেবিল, চেয়ার, টি-টেবিলসহ অসংখ্য আসবাব। সম্প্রতি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ঘুঘু শাল গ্রামের ‘মনবাগান আর্ট পার্ক’ ঘুরে ছবির গল্প। ছবি: এম সাদেক

প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা মনবাগানের প্রবেশদ্বার।
প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা মনবাগানের প্রবেশদ্বার।
প্রবেশদ্বারের পাশেই রয়েছে গাছের গুঁড়ি দিয়ে তৈরি করা ভাস্কর্য।
বিক্রয় ও প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে প্রায় ২০০টি শিল্পকর্ম।
সমীরণের সবচেয়ে প্রিয় কাজ এই শিল্পকর্ম। প্রায় দেড় শ বছর পুরোনো লিচুগাছের শিকড় দিয়ে তৈরি এটি। দাম ২০ লাখ টাকা।
নারকেল দিয়ে তৈরি করা কয়েকটি শিল্পকর্ম।
গাছের ডালের ওপর ছোট ছোট ভাস্কর্য বসিয়ে তৈরি করেছেন হাটবাজার।
গাছের শিকড়, গুঁড়ি ও ডালপালা দিয়ে তৈরি করা বিভিন্ন আসবাব।
গাছের গুঁড়ি থেকে ডাল কেটে নিচ্ছেন সমীরণ। সেই ডাল দিয়ে তৈরি হবে শিল্পকর্ম।
গাছের গুঁড়ি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে শহীদ মিনার। এই কেন্দ্র দেখতে এসে সবার মন আটকে যায় এই শহীদ মিনারে।
বড় গাছের গুঁড়ি দিয়ে তৈরি করেছেন দোয়েল পাখি।