যানজট এড়িয়ে ঢাকার উত্তর-দক্ষিণমুখী যানবাহনের যাতায়াত নিশ্চিত করতে চালু হলো দ্রুতগতির প্রথম উড়ালসড়ক (ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে)। উড়ালসড়কে যানবাহন ওঠানামা করার নির্ধারিত স্থান আছে। টোল প্লাজা ছাড়া চার লেনের এই উড়ালসড়কের কোথাও যানবাহন থামানো যাবে না।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে রেললাইন ধরে তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে যাত্রাবাড়ীর কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে এই উড়ালসড়ক। আজ শনিবার কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল রোববার সকাল ছয়টা থেকে সাধারণ যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
কাওলার এ অংশ থেকে শুরু হয়েছে দ্রুতগতির উড়ালসড়ক। কাওলা থেকে তেজগাঁও পৌঁছাতে সময় লাগবে ১২ মিনিটের মতো।কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ। কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশের দূরত্ব সাড়ে ১১ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১৫টি স্থানে গাড়ি ওঠানামা করার ব্যবস্থা আছে। উড়ালসড়কে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। কাওলা থেকে তেজগাঁও অংশে আপাতত যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। উড়ালসড়ক দিয়ে আট ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে বাস, মিনিবাস, কার, মাইক্রোবাস, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল (এসইউভি, যা জিপ নামে পরিচিত), কয়েক ধরনের পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপ। ফার্মগেটের এ অংশ দিয়ে নেমে আসবে গাড়ি। কুড়িল এলাকায় দ্রুতগতির উড়ালসড়কের রাতের দৃশ্য