সংকেতবাতি নেই, গাড়ি চলে হাতের ইশারায়

চট্টগ্রাম নগরে প্রথমবারের মতো সড়কে সংকেতবাতি স্থাপন করা হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই সেসব বাতি অকেজো হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ২০১২ সালে ‘বাণিজ্যিক অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় নগরের ২৫টি মোড়ে সংকেতবাতির আধুনিকায়ন করা হয়। কিন্তু দুই বছরের মাথায় সেসব বাতিও নষ্ট হয়ে যায়। নতুন করে সংকেতবাতি লাগানোর জন্য আর কোনো প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। এখন ট্রাফিক পুলিশের হাতের ইশারাতেই সংকেতের কাজ চলে। এ কাজে প্রায়ই হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক বিভাগকে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে অকেজো হয়ে থাকা বাতি ও খুঁটি জানান দেয়, এই শহরে একসময় সংকেতবাতির প্রচলন ছিল। ছবিগুলো গত রোববার তোলা।

সড়কে নেই সংকেতবাতি। তাই সড়কের মধ্যে দাঁড়িয়ে দুই হাত প্রসারিত করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য।
হাতের ইশারায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে বেশির ভাগ সময় ট্রাফিক পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।
ঝুঁকি নিয়ে বাসের সামনে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা।
যানবাহনের চালকেরা অনেক সময় ট্রাফিক পুলিশের হাতের ইশারা অমান্য করেন।
ব্যস্ত সড়কে রিকশা ঢুকে পড়েছে। রিকশাচালক থামার নির্দেশ দিলে তিনি তা অমান্য করার চেষ্টা করেন। তখন ট্রাফিক পুলিশ চিৎকার করে তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেন।
দেখেই বোঝা যাচ্ছে, একসময় এই খুঁটিতে সংকেতবাতি ছিল। ছিল সিসিটিভি ক্যামেরা।
সংকেতবাতিহীন অকেজো-জীর্ণ খুঁটি বেয়ে বেড়ে উঠেছে বুনো লতাপাতা।
২০১২ সালে চট্টগ্রাম নগরের সড়কগুলোতে সংকেতবাতির আধুনিকায়ন করা হয়েছিল। কিন্তু সংস্কারের অভাবে সেগুলো এখন অকেজো।
খুঁটিতে অকেজো-জীর্ণ সংকেতবাতি।
অকেজো-জীর্ণ সংকেতবাতি।
খুঁটিতে ঝুলে আছে নষ্ট টাইমার।