জলেই কাটে যে পাখির জীবন

সুন্দর পাখিটির নাম জলময়ূর। ইংরেজিতে একে বলা হয় ফিজ্যান্ট-টেইল্ড জাকানা (Pheasant-tailed jacana)। জলচর এই পাখির বৈজ্ঞানিক নাম হাইড্রোফাজিয়ানাস চিরারগাস (Hydrophasianus Chirurgus)। এরা নেউ, নেউপিপি, পদ্মপিপি বা মেওয়া নামেও পরিচিত।

জলময়ূরের মাথা ও গলার রং সাদা। ঘাড় সোনালি হলুদ, পিঠ চকলেট রঙের। ডানার পাশটা ধবধবে সাদা। পেটের নিচে কালচে। এরা শীত মৌসুমে রং বদলায়। চকলেট থেকে ফিকে বর্ণ ধারণ করে এবং বুকের ওপরে ‘ভি’ আকৃতির কালো হারের মতো দেখা যায়। দেহের তুলনায় লেজ বেশ লম্বা, বাঁকানো।

বিল, হাওর, বাঁওড় বা বড় জলাশয়ে জলময়ূরের বাস। শস্যদানা, জলজ ফল ও কীটপতঙ্গ খেয়ে বেঁচে থাকে। খাবারের প্রাচুর্যতা ও বাসা তৈরির সুবিধা থাকায় পদ্মবিল এদের প্রিয় আবাস। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এদের প্রজনন মৌসুম। পাবনার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের ডিকশির বিল থেকে গতকাল রোববার ছবিগুলো তোলা।

খাবারের সন্ধানে পদ্মবিলে দুটি জলময়ূর। শস্যদানা, জলজ ফল ও কীটপতঙ্গ এদের প্রধান খাবার
প্রজনন মৌসুমে সঙ্গীকে আকর্ষণ করতে ডাকাডাকি করাসহ ওড়াউড়ি করে পুরুষ জলময়ূর
প্রজনন মৌসুমে জলময়ূররা দল বেঁধে বা জোড়ায় জোড়ায় উড়ে বেড়ায়
জলময়ূর সাধারণত খুব বেশি উঁচুতে ওড়ে না। বিলের আশপাশে ওড়ে দল বেঁধে
নীল আকাশে ডানা মেলেছে একঝাঁক জলময়ূর
কালো লম্বা লেজ আর সাদা-কালো ডানা মেলে উড়ছে জলময়ূরটি
পাশের একটি নৌকার শব্দে হঠাৎ উড়াল দিচ্ছে জলময়ূরগুলো
পদ্মপাতার ওপর এসে বসছে একটি জলময়ূর
কচুরিপানার ওপর একটি নারী জলময়ূর
নারী জলময়ূরের লেজ লম্বা নয়। এদের রং কিছুটা ফ্যাকাশে