ঢাকঢোলের বাদ্য বাজছে। শিশু থেকে প্রৌঢ়, নানা বয়সের মানুষ নাচছেন। কারও মাথায় পয়লা বৈশাখ লেখা ব্যান্ড, কারও মাথায় ফুলের মালা। কেউ হাতে নিয়েছেন ছোট চরকি, কেউ মাছ, পাখি, প্যাঁচা, হাতি ও ফুলের আকৃতির রঙিন মুখোশ। পাশে এগিয়ে চলছে বিশাল আকারের হাতি, বনরুই, পাখির প্রতীক। রাজধানীতে পয়লা বৈশাখের উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রার চিত্র ছিল এ রকম। আজ রোববার সকাল সোয়া নয়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। শাহবাগ মোড় ঘুরে রমনা টেনিস কমপ্লেক্সের সামনে দিয়ে শিশুপার্কের মোড় ঘুরে আবার শাহবাগ দিয়ে টিএসসি চত্বর ঘুরে চারুকলার সামনে এসে শেষ হয় বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রা।
রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শেষ হলে সবাই দল বেঁধে আসেন মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে।একতারা আর ভুভুজেলা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন বাবা-মেয়ে।উৎসবের রঙিন বেলুন ফ্রেমে রেখে ছবি তুলছে একটি পরিবার।মঙ্গলবার শোভাযাত্রা ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন তৎপর।মঙ্গল শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল ও সহ-উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদসহ বিশিষ্ট অতিথিরা।সবাই নেচেগেয়ে অংশ নেন মঙ্গল শোভাযাত্রায়।শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় ঘুরে রমনা টেনিস কমপ্লেক্সের দিকে যায়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিল্পী ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত এই শোভাযাত্রা নববর্ষের পুরো উৎসবকেই বর্ণাঢ্য করে তোলে।গরমে এক হাতে চার্জার ফ্যান আর আরেক হাতে বাঁশি।নববর্ষের উৎসবে অংশ নেন বিদেশিরাও।পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বাবার কোলে চড়ে ঘুরে বেড়ানো।এবার মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাংলার লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন উপকরণ, গ্রামীণ জীবনের অনুষঙ্গ, পশুপাখি, ফুল—এসবের প্রতীক ও রকমারি মুখোশ বহন করা হয়।বড় আকারের চাকা, পাখি, ফুল, হাতি, বনরুইয়ের প্রতীক ছিল। আর ছিল বড় আকারের রাজা-রানি ও হাতে বহন করার জন্য ছোট আকারের মাছ, পাখির শতাধিক মুখোশ।চারুকলায় উচ্ছ্বসিত এক শিশু।চারুকলার দেয়ালে আঁকা বর্ণিল চিত্রগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত।মুখে নকশা আঁকায় ব্যস্ত দুই বোন।বকুলতলায় নেচেগেয়ে নববর্ষ উদ্যাপন।চৈত্রসংক্রান্তির আয়োজনে পালাগান উপভোগ করে সবাই।