ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উত্তাল হয়ে পড়েছিল পদ্মা নদী। অনেক জায়গায় নদীভাঙন রোধে ফেলা জিও ব্যাগ সরে গেছে ঢেউয়ের তোড়ে। পদ্মাতীরবর্তী মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া, দক্ষিণ হলদিয়া, তেউটিয়া, রাউৎগাঁও, কনকসার, ঘোড়াদৌড় এলাকায় এরই মধ্যে অনেক পরিবারের ভিটেমাটি বিলীন হয়ে গেছে নদীর বুকে। ভাঙন-আতঙ্কে এখনো নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে হাজারো পরিবার। স্থানীয় ব্যক্তিরা মনে করেন, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হলেই তবে তাঁদের আতঙ্কের দিন শেষ হবে। ছবিগুলো গত সোমবারে তোলা।
ঘোড়াদৌড় এলাকায় এই পরিবারটির বসতভিটার বেশির ভাগ অংশই নিয়ে গেছে পদ্মা নদী। চালাবিহীন রান্নাঘরে কাজ করছেন দুই নারী।নদীগর্ভে চলে যাওয়া গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে।কংক্রিটের সড়কের নিচের মাটি সরে গেছে নদীর স্রোতে। প্রমত্ত পদ্মার বুকে উপড়ে পড়া গাছ।ভিটেবাড়ি পদ্মার বুকে বিলীন হয়ে গেছে, আসবাব অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে একটি পরিবার।কেউটিয়া ইউনিয়নের উত্তর রাউৎগাঁও এলাকার অটোরিকশার মিস্ত্রি দেলোয়ার হোসেনের অর্ধেক ঘর নিয়ে গেছে পদ্মা। পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি।ঝুঁকিপূর্ণভাবে টিকে থাকা ঘরের ভিটায় পড়াশোনা করছে দেলোয়ার হোসেনের তৃতীয় শ্রেণিপড়ুয়া মেয়ে হুমায়রা হোসেন।রিমালের প্রভাবে লন্ডভন্ড তীরবর্তী এলাকা।একচালা টিনের ঘরটি এখন আর থাকার উপযোগী নয়।পাকা ঘরটির ভিটের একটি অংশ চলে গেছে পদ্মায়। বাঁশ দিয়ে কোনোমতে ঘরটি বাঁচানোর চেষ্টা।