স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ

দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোতে পানি বেড়ে প্রায়ই বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ভাঙে। খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামের কাছে ভদ্রা নদীর বাঁধের একটি অংশ ভেঙে গিয়ে প্লাবিত হয়েছে ১৩টি গ্রাম। লোনাপানিতে নষ্ট হয়েছে ফসলের খেত, কাঁচাঘর, মাটির পথ। দুদিন ধরে কয়েক শ মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে চেষ্টা করছেন বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ যত দ্রুত সম্ভব মেরামত করতে। এই ছবির গল্পে তাঁদের সেই প্রচেষ্টা উঠে এসেছে। গতকাল শনিবার ছবিগুলো তুলেছেন সাদ্দাম হোসেন।

জোয়ারে প্রবেশ করা পানি ভাটার সময় নেমে যাচ্ছে। জোয়ার এলে আবার বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হবে লোকালয়।
জোয়ারে প্রবেশ করা পানি ভাটার সময় নেমে যাচ্ছে। জোয়ার এলে আবার বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হবে লোকালয়।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামতের কাজ শুরু করেছেন। আশপাশের গ্রাম থেকেও মানুষ ট্রলার ভর্তি করে আসছেন বাঁধ মেরামতের কাজে অংশ নিতে।
বাঁধ মেরামতে প্রয়োজন বাঁশ। একদল গ্রামবাসী বাঁশ কেটে রাখছেন। বাঁধের মাটি আটকাতে বাঁশের প্রয়োজন হয়।
বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে ভাটার টানে নেমে যাচ্ছে পানি। পাশে মাটি কাটতে ব্যস্ত মানুষ।
বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে জোরেশোরে। অনেক মানুষ বাঁধ মেরামতের কাজে অংশ নিচ্ছেন।
কোদাল-শাবলের মতো দেশি মাটি কাটার যন্ত্র ব্যবহার করেই বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে।
কাজ করতে করতে তৃষ্ণার্ত একজন স্বেচ্ছাসেবক বোতলের পানিতে গলা ভিজিয়ে নিচ্ছেন।
মাটি কেটে নালা তৈরি করা হচ্ছে। যাতে প্লাবিত অঞ্চল থেকে দ্রুত পানি নেমে যেতে পারে।
দুদিন ধরে উদয়স্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন গ্রামবাসী। বাঁধের ভাঙা অংশ পুরোপুরি মেরামতে হয়তো আরও এক দিন প্রয়োজন হবে। জোয়ার আসার আগে কাজ যতটা সম্ভব এগিয়ে নিতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাঁরা।
পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারীও বাঁধ মেরামতের কাজে বিরামহীনভাবে কাজ করছেন।