মাছ ধরার উৎসব

সকালের আলো ফুটতেই বিলের জলে নেমেছেন শৌখিন মৎস্যশিকারিরা। বিভিন্ন বিলে মাসব্যাপী দল বেঁধে মাছ ধরার এ আয়োজন স্থানীয়ভাবে ‘বাউত উৎসব’ নামে পরিচিত। প্রতিবছর অগ্রহায়ণ মাসের মাঝামাঝি সপ্তাহে দুই দিন—শনি ও মঙ্গলবার চলে এই মাছ শিকার। চলনবিল–অধ্যুষিত পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার এই রুহুল বিলের বাউত উৎসবে পাবনা ছাড়াও বিভিন্ন জেলার মানুষের সমাগম ঘাটে। তবে এ বছর হতাশ মৎস্যশিকারিরা। মাছ পেয়েছেন মাত্র ২০-২৫ জন। তাঁদের অভিযোগ বিষটোপ ও গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে উৎসবের আগেই মাছ ধরে নিয়েছেন বিলের ইজারাদার ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ছবি তুলেছেন হাসান মাহমুদ

বিভিন্ন জেলা থেকে বাসে করে উৎসবে এসেছেন মৎস্যশিকারিরা।
বিভিন্ন জেলা থেকে বাসে করে উৎসবে এসেছেন মৎস্যশিকারিরা।
ভোরের আলো ফুটতেই বিলের পানে ছোটা।
বেলা বেড়েছে। তাই বেড়েছে মৎস্যশিকারিদের আনাগোনা।
মোটরসাইকেলে পলো বেঁধে মাছ শিকারে যাচ্ছেন একজন।
কুয়াশামাখা সকালে জাল নিয়ে ছুটেছেন মৎস্যশিকারিরা।
সকালের আলোয় বিলের জলে শত শত জাল।
জাল নিয়ে মাছের খোঁজে বিলের এপার থেকে ওপারে যাচ্ছেন মৎস্যশিকারিরা।
কোথাও হাঁটুসমান, আবার কোথাও কোমরসমান, কোথাও–বা গলাপানি। এর মধ্যেই চলছে মাছ ধরা।
নিয়ম অনুসারে পশ্চিম থেকে পলো বাইতে বাইতে পূর্ব দিকে যান মৎস্যশিকারিরা।
যাঁরা পিছিয়ে পড়ছেন, তাঁরা চেষ্টা করছেন সামনে আগাতে।
অনেকে আবার ছুটেছেন নৌকা নিয়ে।
এত ছোটাছুটির পরও মাছ পাওয়া যায়নি আগের মতো। যা পেয়েছেন, তা–ই নিয়ে বসে আছেন দুই মৎস্যশিকারি।
বিলের জলে মাছ শিকারে ব্যস্ত সবাই।