সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আজ বৃহস্পতিবার সর্বাত্মক অবরোধ (কমপ্লিট শাটডাউন) কর্মসূচি পালন করছেন। রাজধানীর মিরপুর, উত্তরা, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এসব সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ছবি তুলেছেন খালেদ সরকার, সাজিদ হোসেন, সুমন ইউসুফ, শুভ্র কান্তি দাশ এবং তানভীর আহাম্মেদ
মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় একদল মানুষ। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ হামলাকারীরা সরকারের সমর্থক। মিরপুরে সংঘর্ষ চলাকালে কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। মিরপুর ১০ নম্বরে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়।আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পিপার স্প্রে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পুলিশ। আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে একজনকে গুলি চালাতে দেখা যায়। বাড্ডা এলাকায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ।বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে পুলিশ এবং আন্দোলনকারীরা মুখোমুখি অবস্থানে। মালিবাগ এলাকায় সড়কে অবস্থান নেয় পুলিশ। খিলগাঁওয়ে সাঁজোয়া যান নিয়ে আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি অবস্থান নেয় পুলিশ ।যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ।যাত্রাবাড়ী হানিফ ফ্লাইওভারের কাউন্টারের সামনে আন্দোলনকারীরা। যাত্রাবাড়ী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।রামপুরা এলাকায় দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান ।রামপুরা এলাকায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া।রামপুরায় পুলিশ বক্স পুড়িয়ে দেওয়া হয়।বাড্ডা এলাকার বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া পুলিশ সদস্যদের হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার করা হয়। রামপুরায় সংঘর্ষের এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।ধানমন্ডি ২৭ নম্বর মোড়ে পুলিশ বক্স পুড়িয়ে দেওয়া হয়।রাজধানীর মহাখালী ও রামপুরা অংশে বিভিন্ন ভবন থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে। ছবিটি বিকেলে কারওয়ান বাজার থেকে তোলা।