কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দানসিন্দুক খুলে পাওয়া ১৯ বস্তা টাকা গুনতে সময় লেগেছে ১২ ঘণ্টা। গত শনিবার রাত ৯টায় এ গণনা শেষ হয়। এবার কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানসিন্দুক খুলে রেকর্ড ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দানসিন্দুকে মিলেছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ। সিন্দুক খোলার পর টাকার বস্তা মাথায় নিয়ে দোতলায় যাচ্ছেন তাঁরা। মসজিদ কমিটির কর্তৃপক্ষ টাকা রাখার লোহার সিন্দুক দেখছেন। গণনার জন্য বস্তা থেকে টাকা ঢালা হচ্ছে। শতাধিক মাদ্রাসার খুদে শিক্ষার্থীসহ ২০০ জন মিলে প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে টাকা গুনেছেন। টাকা ছাড়াও মিলেছে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও হীরা।টাকা গুনছেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের রূপালী ব্যাংকের ৬০ কর্মকর্তা। টাকার সঙ্গে সিন্দুকে জমা পড়েছে নানা চিঠি। মিলেছে বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রা। গণনার পর টাকা বান্ডিল করেছেন ব্যাংকের দুজন। টাকার স্তূপের ওপর বসে ছোট-বড় নোট বাছাইয়ের পাশাপাশি স্বর্ণালংকারের প্যাকেট খুঁজে বের করছেন দুজন। বান্ডিল করা টাকা এক জায়গায় এনে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। মসজিদের ভেতরেই টাকা গণনার মেশিন দিয়ে দ্রুত গণনার কাজ করছেন রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা।